মারণ ভাইরাস করোনার সংক্রমণ রুখতে একজায়গায় একাধিক লোকের জমায়েতে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে এসেই দেশবাসীকে যে কোনও রকমের জমায়েত বা জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর অনুরোধ মেনেই রবিবার ১৪ ঘন্টার ‘জনতা কার্ফু’ পালন করেছে প্রায় গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে এবার আর কাউকে পাশে পেলেন না লখনউয়ের ঘণ্টাঘরের প্রতিবাদীরা। সোমবার থেকে দেশের বেশিরভাগ জায়গায় লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর আপাতত প্রতিবাদ স্থগিত রাখলেন তাঁরা। যদিও তারপরেও দমানো গেল না শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের। করোনা সতর্কতা মেনেই প্রতিবাদীদের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েই অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে শাহিনবাগ।
দেশের অন্যান্য জায়গার মতো দিল্লীতেও সোমবার থেকে আগামী ৩১ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। সে কথা উল্লেখ করে সংবাদস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহিনবাগের এক প্রতিবাদী মারিয়ম বললেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। খুব অল্প সংখ্যক লোককে এক জায়গায় জমায়েত হতে অনুরোধ করা হয়েছে। তাই এখানে শিফটে পাঁচজন করে আসছেন। আমরা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুত। আমরা গ্লাভস্, মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করছি।’ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিকাল ৫টার সময় ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন শাহিনবাগ অঞ্চলের সব বাসিন্দাই। নিজেদের বাড়ির ব্যালকনি বা ছাদে ভিড় করেছিলেন তারা। যদিও তারা কেউই ঘন্টা কাসর বাজাননি বা হাততালি দেননি।