করোনা ভাইরাসের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ টুর্নামেন্টই। তবুও অলিম্পিক্স বাতিল করা বা পিছিয়ে দেওয়ার কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছে না আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। তা নিয়ে বিশ্বের নামী অ্যাথলিটরা বেশ ক্ষুব্ধ এবং প্রকাশ্যে সেই ক্ষোভ বেরিয়ে আসতেও শুরু করেছে।
অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন গ্রিক পোলভল্টার ক্যাটেরিনা স্টেফানিডি বলে দিয়েছেন, আইওসি তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। হেপ্টাথলনে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রিটিশ ক্যাটেরিনা জনসন-থম্পসন সদ্য ইংল্যান্ড ফিরেছেন ফ্রান্সে ট্রেনিং করে। আমেরিকায় তাঁর ট্রেনিং ক্যাম্প বাতিল করতে হয়েছে। তিনি এ দিন আইওসিকে উদ্দেশ্য করে তোপ দেগেছেন। বলেছেন, ‘এক দিকে আমরা প্রত্যেকে নিজেদের দেশের সরকারের কথা শোনার চেষ্টা করছি। যাতে সকলের স্বাস্থ্যের দিকটা দেখতে পারি এবং সকলে নিরাপদ থাকি। অন্য দিকে আইওসি সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলছে।’
আইওসি-র সর্বশেষ বিবৃতির যা সুর, তাতে একে তো অলিম্পিক্স জুলাইয়ে হওয়ার কথাই বেশি করে বলা হয়েছে। উল্টে, প্রতিযোগীদের আহ্বান জানানো হয়েছে, তাঁদের প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে। এখানেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে প্রতিযোগীদের মধ্যে। প্রশ্ন উঠেছে, কী ভাবে প্রতিযোগীরা প্রস্তুতি চালিয়ে যাবেন? যেখানে বিশ্ব জুড়ে সব কিছুই বন্ধ রয়েছে এবং গরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষ ঘরে বসে থাকছেন করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানো থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, সেখানে অলিম্পিক্সের মতো বড় ইভেন্টের প্রস্তুতি কী ভাবে শুধু বাড়িতে বসে নেওয়া সম্ভব?
জনসন-থম্পসন যেমন বলেছেন, ‘এ রকম পরিস্থিতিতে ট্রেনিং করাটা খুবই চাপের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একই রকম রুটিন চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব।’ চীনে প্রথম শুরু হওয়া ভাইরাসের প্রকোপ এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ইংল্যান্ডেও যথেষ্ট আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়াটাও যথেষ্ট অমানবিক বলে দাবি উঠেছে।