লোকসভা ভোটের পরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর যে হিড়িক উঠেছিল তা এখন বেশ ফিকে। এনআরসি, এনপিআর, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ইত্যাদি নানা কারণে বিজেপি ছাড়ছেন সকলেই। সকলেই বুঝছেন একমাত্র মমতার ছত্রছায়াতেই মানুষের জন্যে কাজ করা যায়। পুরুলিয়ায় গত দু’দিনে বড় ভাঙন ধরল বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমে। রবিবার পুরুলিয়ার চাকোলতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের চার বিরোধী সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর পুরুলিয়ার ওই গ্রাম পঞ্চায়েত বিরোধীশূন্য হয়ে যায়। এদিন দুই সিপিএম ও দুই কংগ্রেস গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দল ছাড়েন।
জেলা তৃণমূল সভাপতি, মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন ঝালদা এলাকার বিজেপির ১২ নম্বর জেলা পরিষদ কমিটির যুব সভাপতি অমিতকুমার দে, এলাকার দু’টি বুথের বিজেপি বুথ সভাপতি আঘনু মাহাতো ও রমেশচন্দ্র মাহাতো। স্বীকৃতি সম্মেলনের দিন জেলা তৃণমূল দপ্তরে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী। তাঁদের সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন ঝালদার প্রায় ১০০ জন বিজেপি সমর্থক। এই যোগদান পর্বের কিছুক্ষণ পরই পুরুলিয়া মফস্বল থানার চাকলতোড় গ্রামপঞ্চায়েতের সব বিরোধী সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। দলীয় কার্যালয়েই তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন শান্তিরাম।
এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিরোধী জোটের সদস্যরা বলেন, ‘আমরা মানুষের ভোট নিয়ে জিতলেও বিরোধী হয়ে একটিও কাজ করতে পারছিলাম না। তাছাড়া আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হতেই যোগদান করলাম তৃণমূলে। আমরা কোনও রকম চাপে পড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি এমন নয়, মানুষের হয়ে কাজ করতে এবং মানুষের জন্য একমাত্র তৃণমূলে থেকেই কাজ করা যায় বলে যোগ দিয়েছি।’ শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তাঁরা আমাদের দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। আমরা আজ থেকে আমাদের দলে নিলাম। সকলে মিলে মানুষের হয়ে কাজ করব। উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের একমাত্র কাজ।’