রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করায় দেশজুড়ে কয়েক লক্ষ ইয়েস ব্যাঙ্কের আমানতকারী বড় বিপাকে পড়েছেন। কেউই ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারবেন না। তা অ্যাকাউন্টে যত টাকাই থাকুক না কেন। এই উদ্বেগের সময়ই এক চাঞ্চল্যকর খবর উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। জানা যাচ্ছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই আর্থিক নিয়ন্ত্রণ লাগু করার কয়েক ঘণ্টা আগেই ব্যাঙ্ক থেকে ২৬৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছিল গুজরাতের এক কোম্পানি। সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যাঙ্কের এক শীর্ষ আধিকারিক।
একই সঙ্গে ভদোদরা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ডেপুটি মিউনিসিপ্যাল কমিশনার এবং এসপিভি-র চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সুধীর প্যাটেল, এই টাকা তুলে নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন। সুধীর জানান, কেন্দ্রের তরফে স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার অনুদান হিসেবে ইয়েস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে এই টাকা জমা করা হয়েছিল, সেটাই তুলে নেওয়া হয়েছে। টাকাটি তুলেছে ভদোদরা স্মার্ট সিটি ডেভলপমেন্ট নামের এক কোম্পানি। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, আম আদমিকে অন্ধকারে রেখে বড় কোম্পানিগুলিকেই কি আগেভাগে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল?
বৃহস্পতিবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইয়েস ব্যাঙ্কের উপর এই আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, কোনও গ্রাহকই ৫০ হাজার টাকার বেশি অর্থ তুলতে পারবেন না। যেই ঘোষণার পর থেকেই হয়রানি সঙ্গী হয়েছে আমানতকারীদের। তবে সুধীর প্যাটেল বলছেন, যেহেতু ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে টাকা আদান-প্রদানে সমস্যা হচ্ছিল সেই কারণে ওই টাকা তুলে নিয়ে ব্যাঙ্ক অব বরোদায় স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়।