বৃহস্পতিবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরীর গাড়ি সংসদ ভবনে ঢুকতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ছড়ালো দেশের রাজধানীতে। যদিও মোদী সরকার বলছে স্টিকার বিভ্রাটের জেরেই এই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। যদিও তাতে কতজন বিশ্বাস রাখছেন সে নিয়েই সন্দেহ রয়ে গিয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল বৃহস্পতিবার দুপুরে? এদিন দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সংসদ ভবনের দিকে নিজের গাড়ি নিয়েই যাচ্ছিলেন অধীরবাবু। কিন্তু বিজয়চকে তাঁর গাড়ি আটকে দেয় দিল্লী পুলিশ। তিনি গাড়ি আটকাবার কারণ জিজ্ঞাসা করলে দিল্লী পুলিশের কর্মীরা জানান, ‘এই গাড়ি সংসদ ভবনের দিকে যেতে দেওয়া যাবে না। গাড়িতে যে স্টিকার রয়েছে তার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। তাই এই গাড়ি সংসদ ভবনের দিকে নিয়ে যেতে হলে চলতি বছরের নতুন স্টিকার চাই।’ একই অবস্থা হয় আরও বেশ কিছু সাংসদের। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আরেক কংগ্রেসের সাংসদ গুরজিত সিং অজলাও। এরপর আর তর্ক না করে অধীরবাবু ও আরও কিছু সাংসদ বিজয় চক থেকে পায়ে হেঁটেই সংসদ ভবন যান।
কিন্তু ঘটনা হচ্ছে সংসদ ভবনে আসার জন্য গাড়িতে স্টিকার সরবরাহ করে কেন্দ্রের সংসদীয় মন্ত্রকই। নতুন স্টিকার তারা এখনও সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারেননি। তাই কেন্দ্রের তরফেই ঘোষণা করা হয়েছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত পুরানো স্টিকার বৈধ থাকবে। তা সত্ত্বেও কিভাবে এদিন অধীরবাবুর গাড়ি আটকে দেওয়া হল সেই প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের সাংসদরা। তাঁরা দাবি করেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে হেনস্থা করা হয়েছে প্রবীণ এই কংগ্রেস সাংসদকে। যেহেতু অধীর সংসদে অমিত শাহের ইস্তফার দাবি জানিয়েছেন সেই জন্য বুধবার সন্ধ্যায় যেমন অধীরবাবুর বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনা ঘটেছে ঠিক তেমনি এদিন গাড়ি আটকে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। অভিযোগ, দুটি ঘটনাই ঘটেছে অমিত শাহের অঙ্গুলিহেলনেই।
