বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চাইছে। মধ্যপ্রদেশের ঘটনার পর এমনটাই দাবি করল কংগ্রেস।
বুধবার সকালে মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী জিতু পাটোয়ারী বলেন, ‘বিজেপি গণতন্ত্রের হত্যা করতে চাইছে। মোদী মুখে অন্য রাজনীতির কথা বললেও, আসলে এই রাজনীতিটাই মোদী করতে চান।’ তাঁর আরও অভিযোগ, বিধায়কদের ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা অফার করছে বিজেপি। কয়েকজন বিধায়ক বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন বলেও দাবি করেন জিতু পাটোয়ারি। তবে তারা কংগ্রেসের সঙ্গে আছে বলেই জানিয়েছেন মন্ত্রী।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মধ্যপ্রদেশের এই মন্ত্রী অভিযোগ করেন, এই সমস্ত ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছেন শিবরাজ সিং চৌহান। আর শিবরাজ সিং-এর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য ভিডিও এবং অডিও ভাইরাল হয়েছে বলেও জানান জিতু পাটোয়ারী। সবশেষে তিনি বলেছেন ‘মধ্যপ্রদেশ কি সরকার কো কোই খাতরা নেহি হে।’
মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজ্যের দুই মন্ত্রী জিতু পাটোয়ারী ও জয়বর্ধ্ণ সিং কে গুরুগ্রামের একটি পাঁচতারা হোটেল থেকে বেরোতে দেখা গিয়েছে। আর সঙ্গে ছিলেন বিএসপি বিধায়ক। কংগ্রেস আগেই অভিযোগ করেছিল যে সরকারে থাকা আট বিধায়ককে জোর করে হরিয়ানার হোটেলে আটকে রেখেছে বিজেপি।
কংগ্রেসের দাবি তাদের দলের চার বিধায়ক ও নির্দল আরও চার বিধায়ককে ওই হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত চার বিধায়ক হোটেল ছাড়লেও চার বিধায়ক এখনো ওখানেই রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী তরুণ ভারত জানিয়েছেন, তাদেরই এক বিধায়ক ফোন করে এই ঘটনার কথা জানান। বিশাহুলাল সিং নামে ওই বিধায়ক দল কে ফোন করে জানায় যে তাদের জোর করে হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে। এরপরই তাদের সঙ্গে দেখা করতে আইটিসি মারাঠা হোটেলে ছুটে যান। দুই বিধায়ক জিতু পাটোয়ারী ও জয়বর্ধ্ণ সিং। কিন্তু তাদের হোটেলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা মোট আসন সংখ্যা ২৩১। কংগ্রেস ও বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে পরবর্তী আসন আপাতত ফাঁকা রয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ১১৪ ও বিজেপির আসন সংখ্যা ১০৭। বাকি আসনগুলোর মধ্যে দুটি বহু জন সমাজবাদী পার্টির, একটি সমাজবাদী পার্টির ও চারজন নির্দল বিধায়ক রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায়। যদিও কংগ্রেসের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
