ভুবনেশ্বর থেকে ফিরেই মালদায় যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫ মার্চ মালদায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি গণবিবাহের অনুষ্ঠান রয়েছে। সরকারে ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের আওতায় এই গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছে। সেই গণবিবাহ অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক মাস আগেই মালদায় আদিবাসীদের বিয়ে দিয়ে ধর্মান্তরকরণ করার অভিযোগ ওঠে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারও করা হয়। এবার রূপশ্রী প্রকল্পের আওতায় গণবিবাহের আয়োজন করে তৃণমূল শিবির পাল্টা আদিবাসীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে চায় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। আদিবাসীদের সব প্রয়োজনে সবসময় তাঁর সরকার পাশে আছে, নিজে উপস্থিত থেকে সেই বার্তা-ই যেন দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পে বিয়েতে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। যেসব পরিবারের আর্থিক সঙ্গতি কম, তাদের ক্ষেত্রে মেয়ের বয়স ১৮ হওয়ার পর বিয়ের জন্য এককালীন ২৫০০০ টাকা অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। এখন এই ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের কথা আদিবাসীরা যাতে আরও ভাল ভাবে জানতে পারে, আদিবাসীদের মধ্যে এই প্রকল্পের কথা যাতে ছড়িয়ে পড়ে, সেই কারণেই গণবিবাহের আয়োজন। বার্তা দেওয়ার প্রসঙ্গ উড়িয়ে এমনটাই দাবি করেছে ঘাসফুল শিবির। ৫ মার্চ গণবিবাহে ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের আওতায় ২০০ আদিবাসী কন্যার বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।