এবার এক সপ্তাহের জন্য জামিন পেলেন গুজরাতের কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেল। শুক্রবার তাঁকে এই জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই জামিনের সময়সীমা অত্যন্ত অল্প সময়ের। আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত এই জামিন দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
২০১৫ সালে গুজরাতে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল তাতে নাম জড়িয়ে যায় হার্দিকের। তার প্রেক্ষিতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি কতদূর এগিয়েছে তা জানানোর জন্য গুজরাত সরকারকে এক সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আদালত। আগামী শুক্রবারের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করার জন্য এদিন নোটিস ইস্যু করা হয়েছে গুজরাত সরকারকে। কারণ তাদের পক্ষ থেকেই অভিযোগ উঠেছিল হার্দিক প্যাটেল হিংসা ছড়িয়েছে।
এদিন খানিকটা চড়া সুরে গুজরাত সরকারকে ভর্ৎসনা করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং বিচারপতি বিনীত শরণ গুজরাট সরকারকে নোটিস ইস্যু করে বলেন, ‘এই মামলা দায়ের হয়েছিল ২০১৫ সালে। আর এখনও তার তদন্ত পড়ে রয়েছে। আপনারা একটা মামলা পাঁচ বছর ধরে ফেলে রাখতে পারেন না।’
উল্লেখ্য, মূলত দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় কংগ্রেস নেতা হার্দিককে। ২০১৫ সালের একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার শুনানিতে গুজরাতের একটি নিম্নবর্তী আদালতে হাজিরা দেননি পতিদার আন্দোলনের এই নেতা। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। এবং সেদিনই কিছু ঘণ্টার মধ্যে গুজরাতের আমেদাবাদ জেলার ভিরামগাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।