গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ইম্ফলে ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে ০-১ পিছিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ক্রোমার জায়গায় নতুন স্পেনীয় ভিক্তর পেরেস আলন্সোকে নামান মারিয়ো। এর পরেই ঘুরে দাঁড়ায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কোচের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি ক্রোমা। রিজার্ভ বেঞ্চে বসেই ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেন লাইবেরীয় স্ট্রাইকার। তাঁর অভিযোগ, প্রথম দিন থেকেই মারিয়ো তাঁকে অপমান করে চলেছেন। মানসিক অত্যাচার করছেন। দল থেকে বাদ দেওয়ার হুমকিও নাকি দেন। এখানেই শেষ নয়। সতীর্থদের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন ক্রোমা। জানিয়েছেন, তাঁকে কেউ পাস দেন না। এই কারণেই নাকি ছ’ম্যাচে মাত্র একটি গোল করেছেন। সন্ধ্যায় ক্লাব তাঁবুতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তাদের কাছে কোচ ও সতীর্থদের নামে নালিশও করেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে কমছে ক্রোমার সই করার সম্ভাবনা। ক্রোমার জায়গায় সই করার সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে জনি অ্যাকোস্টার। কোস্টা রিকার বিশ্বকাপার ইস্টবেঙ্গলে ফিরতে সম্মতি দেওয়ায় প্রশ্ন ওঠে, কার পরিবর্তে তিনি সই করবেন।
প্রথমে শোনা যাচ্ছিল ছন্দে না থাকা কোলাডোর পরিবর্তে নেওয়া হবে অ্যাকোস্টাকে। কিন্তু স্পেনীয় মিডফিল্ডারের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি রয়েছে লাল-হলুদের। তাঁকে ছাড়তে হলে বিরাট অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভেসে ওঠে মার্কোস খিমেনেস দে লা এসপারা মার্তিনের নামও। কিন্তু স্পেনীয় স্ট্রাইকারকে পছন্দ মারিয়ো রিভেরার। আর বিদেশি কাশিম আইদারাকেও বাদ দিতে রাজি নন তিনি। এই অবস্থায় একমাত্র খুয়ান মেরা গঞ্জালেসের জায়গায় আকোস্তাকে নেওয়ার পথ খোলা ছিল। কিন্তু চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের তিন দিন আগে নাটকীয় ভাবে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। ক্রোমা বনাম মারিয়ো সংঘাতের জেরে উত্তপ্ত লাল-হলুদ শিবিরের আবহ।
তবে ক্রোমার অভিযোগের কোনও জবাব অবশ্য দেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ। অনুশীলন চলাকালীন একবারও ক্রোমার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়নি লাল-হলুদ কোচকে। দলের অন্যান্য সদস্যেরা অবশ্য প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ক্রোমার ব্যবহারে। কেউ কেউ বলেই দিলেন, ‘‘ক্রোমা যে ভাবে কোচকে অপমান করেছে, তাতে ওকে আর দলে রাখাই উচিত নয়। সে দিন মারিয়ো ওকে বারবার মাথা ঠান্ডা রাখার অনুরোধ করছিলেন। আমরাও ক্রোমাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ও কারও কথা শোনেনি।’’