দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে পুরভোট। কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ থামার নামই নেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই এখন শোনা যাচ্ছে তাদের অন্তর্কলহের কথা। এবার যেমন প্রকাশ্যে আসানসোলে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা। জানা গিয়েছে, সেখানে বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন একদল বিজেপি কর্মী। তাঁদের দাবি, জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘড়ইকে অবিলম্বে পদ থেকে সরাতে হবে। গঠন করতে হবে নতুন জেলা কমিটি।
বিজেপি নেতা অরিজিৎ রায়ের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক বিজেপি কর্মী এদিন আসানসোলে মহীশিলা কলোনিতে বাবুলের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, লক্ষ্মণ স্বেচ্ছাচারী। তিনি একক ভাবে নিজের ঘনিষ্ঠদের নিয়ে দল চালাচ্ছেন। তিনি দলের অন্য কর্মীদের গুরুত্ব দেন না। ঘটনাচক্রে গতকালই আসানসোলে আসেন স্থানীয় সাংসদ বাবুল। তবে তিনি নিজে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বললেও তাঁদের শান্ত করা যায়নি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিল্প-শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজনৈতিক দলের মতে, বাবুল আসানসোলে আসার পরে এই অরিজিৎকে বিজেপিতে নিয়ে আসেন। দলে তাঁর গুরুত্ব বাড়ে। কিন্তু এখন খোদ বাবুলের সঙ্গেই তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে। অন্য দিকে, এই লক্ষ্মণ বর্তমানে বাবুলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। জেলা বিজেপিতে এখন লক্ষ্মণ ও অরিজিৎ দুটি গোষ্ঠী। এঁদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশই হয়েছে এদিন। তবে এ নিয়ে এখনও বাবুলের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বাবুল প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাঁর কথার ভিডিও ফুটেজ সামনে আসে। তাতে বাবুল বার বার অনুরোধ করছেন মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে, তাই চিৎকার ও অশান্তি না করতে। তিনি বোঝাতে চেষ্টা করেন, দলে আগে একজন সাংসদ ছিলেন তিনি। এখন দুর্গাপুরেও দলের সাংসদ। তিনি সাংগঠনিক ভাবে দুর্গাপুর ও আসানসোলকে দু’ভাগে ভাগ করার অনুরোধ করেছিলেন দলের কাছে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তাই দল যিনি ছিলেন তাঁকেই সভাপতি রেখেছে।