বিগত ৩ দিন ধরেই উত্তর-পূর্ব দিল্লীর বিস্তীর্ণ এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে দাঙ্গা পরিস্থিতি। শুরু হয়েছে বিভিন্ন মসজিদে ভাঙচুর। প্রধানত, এই হামলার দায় পড়ছে বেশ কয়েকটি উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের ওপর। এছাড়াও বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রর নেতৃত্বেও গেরুয়া বাহিনীর গুন্ডারা হামলা চালিয়েছে সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর। এবার এই বিষয়েই বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিল্লীর উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া বললেন, ‘একদল দৈত্য দিল্লীতে ঢুকে পড়েছে।’
সংবাদসংস্থা মারফত পাওয়া শেষ খবর অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানীতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০-তে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু, দিল্লী পুলিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেরই অধীনে, তাই এর দায় বর্তাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ওপরেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজধানীর উপ-মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘দিল্লীতে দৈত্যরা ঢুকে পড়েছে। এরা দিল্লীর সাধারণ মানুষ হতেই পারে না। যেই ধর্মের বা জাতিরই লোক হোক না কেন, এমন পরিস্থিতিতে কাউকে রেয়াত করা উচিত নয়। তাঁদের প্রত্যেককে ধরে জেলে ঢোকানো প্রয়োজন। কঠিন সাজা হওয়া উচিত প্রত্যেকের।’
এই পরিস্থিতিতে দিল্লীতে শান্তি ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা করতে রাজঘাটে গান্ধী মূর্তির কাছে গিয়েছিলেন মণীশ শিসোদিয়া এবং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপরই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, ‘রাজধানীর পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। এখনই এখানে সেনা নামানো প্রয়োজন।’