পুলকার দুর্ঘটনাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে শুক্রবার ভোররাতে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ সামিম। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পুলকারের মালিক ছিল এই শামিম। দুর্ঘটনার পর পুলকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পলাতক ছিল শামিম।
শামিমের মোবাইল ফোনও এতদিন বন্ধ ছিল। পুলিশ তাঁর খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে সাদা পোশাকে শামিমের খোঁজখবর চালাতে থাকে পুলিশ। শুক্রবার ভোররাতে শামিমকে গ্রেফতার করে হুগলি জেলা পুলিশ।
তবে চিন্তা অন্য জায়গায়। দুর্ঘটনায় জখম ঋষভের শারীরিক অবস্থার খুব একটা উন্নতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। তার শারীরিক অবস্থা মাল্টি অরগ্যান ফেলিওরের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ফুসফুস সহ কাজ করা বন্ধ করছে প্রায় সব অঙ্গগুলি। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। গতরাতে একটি মেডিকেল বুলেটিন জারি করে এসএসকেএম-র তরফে এই কথা জানানো হয়।
তবে দিব্যাংশুকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়েছে। দুই ছাত্রের পরিবার হাসপাতালে তাঁবু খাটিয়ে দিনযাপন করছেন। প্রথম থেকেই দু’জনকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। এসএসকেএমে তড়িঘড়ি গঠিত হয় ছ’সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। চিকিৎসকরা জানান, ঋষভের ফুসফুস ভরে গিয়েছে নয়ানজুলির নোংরা জল আর পাঁকে। দিব্যাংশুর মাথায় আঘাত রয়েছে। দু’জনের পাঁজর জখম হয়েছে এমন ভাবে যাতে স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যাহত হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। দু’জনের অবস্থাই যথেষ্ট গুরুতর।