সিএএ আতঙ্কে বাংলায় বাড়ছে আত্মহত্যার চেষ্টা। পিজি হাসপাতালের ইনস্টিটিউট অব সাইকিয়াট্রি (আইওপি)-র অধিকর্তা ডাঃ প্রদীপ সাহা একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বহু উদ্বিগ্ন মানুষ আমাদের প্রতিষ্ঠানে আসছেন। তাঁদের উপসর্গের বিবরণ বা ‘কেস সামারি’ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, অনেকেই আত্মহত্যার কথা ভেবেছেন।
প্রদীপ বাবু জানান, কলকাতায় এনআরসি আতঙ্কে বহু মানুষ সোজা হাসপাতালে চলে আসছেন। আমরা সাধ্যমতো শান্ত করার চেষ্টা করছি। কাউন্সেলিং করছি। ৩ ফেব্রুয়ারি আইওপিতে দেখাতে এসেছিলেন হুগলির বাসিন্দা রমজান আলি ওস্তাগর। ৫৮ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির বাড়ির লোকজন জানালেন, এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে আতঙ্ক শুরু হওয়ার পর থেকে দু’চোখে ঘুম নেই রমজানের। কেমন উদভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বার বার গলা টিপে আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয়, মনে সব সময়ই আশঙ্কা— কেউ জোর করে তাঁর সই নিয়ে নিচ্ছে।
আইওপি সূত্রের খবর, অনেকে আত্মহত্যার কথা ভাবছেন। চেষ্টা করছেন। এছাড়া বড় যে সমস্যা দেখা যাচ্ছে তা হল, এই আতঙ্কে বহু মানুষই তীব্র অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। জীবনের অর্থ খুঁজে পাচ্ছেন না। এই আতঙ্কের মধ্যে কিভাবে দিন কাটাবে মানুষ। মানুষকে অশান্তির মধ্যে ঢেলে দেওয়া মোদী সরকার এ নিয়ে মুখে টু শব্দটি কাটছেন না।