রাজ্যে আসন্ন শতাধিক পুরসভার ভোটের আগে বিভিন্ন জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গেলেন হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক। পুরভোটের আগে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক ডেকেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস, এমনটাই খবর।
ভোট কর্মী নিয়োগ, ব্যালট নাকি ইভিএম-এ ভোট? এবিষয়েও আলোচনার প্রয়োজন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলা শাসকদের সঙ্গে কথা বলার জন্যই রাজ্য নির্বাচন কমিশনে জরুরি বৈঠক। সাধারণত যে জেলায় ভোট হয় সেই জেলা বাদে অন্যান্য জেলা থেকে ভোট কর্মী নিয়োগ করা হয়।
সেক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার ভোটের ক্ষেত্রে হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ভোটকর্মী নিযোগ করা হয়। আবার হাওড়া পুরসভায় ভোটে বাকি তিন জেলা থেকে ভোট কর্মী নিয়োগ করা হবে। ভোট ব্যালটে হবে না ইভিএম-এ হবে সেবিষয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৮-য় পঞ্চায়েত নির্বাচনে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও ভোট লুঠের অভিযোগে সরব হয়েছিল বিরোধী দলগুলি।
পুরভোটের সূচি নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিকবার প্রস্তাবিত দিন নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য চাইছে, ১২ এপ্রিল হোক কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট। অন্যদিকে ২৬ এপ্রিল বাকি শতাধিক পুরসভার ভোট করাতে চাইছে রাজ্য। রাজ্যের প্রস্তাবিত দিনেই নির্বাচন কমিশন ভোট করে কিনা সেদিকেই নজর রয়েছে।
এদিকে রাজ্যের প্রস্তাবিত দিনে যদি নির্বাচন করাতে হয় তাহলে চলতি বা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে কমিশনকে। এছাড়াও সব রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকেও বসতে হবে। সবমিলিয়ে কমিশনে আজকের বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।