সকালবেলা ঘুম ভাঙার পরই মনখারাপের খবর পেয়েছে রাজ্যবাসী। ভোররাতেই না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন বাংলা সিনেমা জগতের অন্যতম বিখ্যাত অভিনেতা তথা সুপারস্টার তাপস পাল। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক জীবনেও পদাপর্ণ করেছিলেন ২০০১ সালে। যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে, হয়েছেন ২ বারের সাংসদ-বিধায়কও। পরবর্তী সময়ে তাঁর জীবন আসে সেই কালো দিন। রোজভ্যালি কাণ্ডে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে সিবিআই গ্রেফতার করে তাঁকে। বিনা দোষে সাজা পেয়ে ভুবনেশ্বরে জেলেও ছিলেন তিনি। এবার তাঁর মৃত্যুতে সিবিআই-এর বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শ্রীরামপুর লোকসভার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কল্যাণ সরাসরি অভিযোগ তুলে বলেন, সিবিআই-ই দায়ী তাপস পালের মৃত্যুর জন্য। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তাপস পালকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দিনের পর দিন জেরা করেছিল। সেকারণেই ওঁর শরীর ভেঙে পড়ে ও অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ রোজভ্যালির ঘটনার পর মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিল তাপস। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েই আজ এই অবস্থা হল। কল্যাণ আরও বলেন, মামলার তদন্তে সিবিআই তাঁকে চোর বলেছিল কিন্তু প্রমাণ করতে পারেনি। দিনের পর দিন জেরা করে, মানসিক যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছিল। বিরোধীরা হয়তো এখন খুশি। তাঁরা হয়তো এটাই চেয়েছিল।
জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে তিনি মুম্বই যান তার মেয়ে সোহিনী পাল এর সঙ্গে দেখা করতে। ১লা ফেব্রুয়ারি আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা হন সোহিনী। তাই মার্কিন মুলুকে যাওয়ার আগে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতেই মুম্বই যাত্রা করেন অভিনেতা। পরিবারের দাবি, মেয়ে আমেরিকার উড়ান ধরার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপরই তাকে ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তারপর থেকেই চলতে থাকে টানাপোড়েন। অবশেষে গতকাল ভোররাতে মৃত্যু ঘটে তাঁর।