৯ বছর আগে ২০১১-তে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে নিজেদের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে নিজের স্বপ্নের ট্রফি হাতে তুলেছিল ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার। বিশ্বকাপ জেতার পরে বিরাট কোহলি, ইউসুফ পাঠানদের কাঁধে চড়ে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে ওয়াংখেড়ে প্রদক্ষিণও করেছিলেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’। এবার এই দৃশ্য ২০ বছরের সেরা ক্রীড়া মুহূর্তের লড়াইয়ে সেরার সম্মান ছিনিয়ে নিল বার্লিনে। সোমবার ২০১৯ সালের লরিয়াস ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সেরা ক্রীড়া মুহূর্তের সম্মান জেতেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’।
টেনিসের কিংবদন্তি বরিস বেকার একশো সেঞ্চুরির মালিকের নাম ঘোষণা করেন। শচীনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তাঁর একসময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী স্টিভ ওয়। ট্রফি হাতে শচীন বলেন, ‘এই অনুভূতি অবিশ্বাস্য। বিশ্বকাপ জেতার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। খুব কমই এমন ইভেন্ট হয়, যখন গোটা দেশ আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে। আর এটাই প্রমাণ করে খেলাধুলো সত্যিই শক্তিশালী এবং মানুষের জীবনে তা ম্যাজিকের মতো প্রভাব ফেলে।’
ট্রফি হাতে বিশ্বকাপ জেতার অনুভূতি শচীনকে শেয়ার করতে বলেন জার্মান টেনিস কিংবদন্তি। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘১৯৮৩ সালে আমার বয়স তখন ১০। সেই বছরই ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিল। ওই বয়সে বিশ্বকাপ জেতার তাৎপর্য আমি বুঝতে পারিনি। সবাই আনন্দ করছিল তাই আমিও সবার সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠি। কিন্তু এটা যে দারুণ একটা সাফল্য, তা বুঝতে পারছিলাম। মনে মনে তখনই স্থির করেছিলাম আমিও এমন কোনও মুহূর্তের সাক্ষী হব কোনও একদিন।’ তার পর থেকেই সেই স্বপ্নের পিছনে ছুটে যান শচীন। অবশেষে সেই স্বপ্ন সত্যি হয় ২০১১ সালে।