দিল্লী নির্বাচনের প্রচার পর্বে কেজরিওয়ালের হনুমান চল্লিশা পড়া নিয়ে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল৷ সেসবের পর নির্বিঘ্নেই ভোট মিটেছে৷ হ্যাটট্রিক করে ফের একবার দিল্লীর ‘তখত’ এ বসেছেন কেজরিওয়াল। কিন্তু হনুমান চল্লিশা বিতর্ক এখনও পিছু ছাড়েনি৷ মঙ্গলবার জম্মু কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি রভিন্দর রায়না বলেন, এই হনুমান চল্লিশাই অরবিন্দের দলকে বিপুল ভোটে জিততে সাহায্য করেছে৷ এদিকে এক কদম এগিয়ে কেজরিওয়ালকে অভিনন্দন জানিয়ে বিজেপি সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘এবার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় হনুমান চল্লিশা পড়ানোর কোর্স চালু করুন৷’
কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, এবার সময় এসেছে, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় হনুমান চল্লিশা পাঠ বাধ্যতামূলক হবে৷ একইসঙ্গে হিন্দিতে তিনি টুইট করে আরও বলেন, দিল্লীর বাচ্চারা বজরঙ্গবলির আশীর্বাদ থেকে কেন বঞ্চিত হবে? মঙ্গলবার যখন প্রায় নিশ্চিত কেজরিওয়াল অপ্রতিরোধ্য, তিনিই তৃতীয়বার সরকার গড়তে চেলেছেন, তখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার পর হনুমান মন্দিরে যান কেজরিওয়াল৷ কনট প্লেসে হনুমান মন্দিরে গিয়ে আশীর্বাদ নেন তিনি৷ কেজরিওয়ালের সঙ্গে ছিলেন, তাঁর পরিবারের সদস্যরা এবং উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া৷
হনুমান চল্লিশা নিয়ে দিল্লীর ভোট পর্ব কম সরগরম হয়নি৷ বিজেপির ক্রমাগত এই আক্রমণ ও পাকিস্তান যোগের পাল্টা দিতেই প্রায় কেজরিওয়াল এভাবে জনসমক্ষে হনুমান চল্লিশা পাঠ করেন। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন যে, ‘আমি হিন্দু আর তা প্রমাণ করার জন্য বিজেপির অনুমোদনের কোনও প্রয়োজন নেই।’ তারপর সেই মঞ্চেই হনুমান চালিশা পাঠ করে শোনান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই অনুষ্ঠান সম্প্রচার হওয়ার পর থেকেই বিজেপি নেতা মন্ত্রীদের আক্রমণের মুখে পড়েন কেজরি।