ভোটের ময়দানে নিজের ঈর্ষণীয় রেকর্ড বজায় রাখলেন ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর । দিল্লীতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ফের মসনদে বসিয়ে আরও একবার নিজের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। প্রশান্ত কিশোরের এই সাফল্যে নিঃসন্দেহে খুশি হবে তৃণমূল শিবির। সেই সঙ্গে এরাজ্যের শাসকদল প্রত্যাশা করবে, একুশের নির্বাচনে বাংলাতেও দেখা যাবে পিকের জাদু।
দিল্লী নির্বাচনের মাস দু’য়েক আগে কেজরিওয়ালের দলের সঙ্গে চুক্তি হয় প্রশান্ত কিশোরের। পরবর্তী দু’মাস দিল্লীকেই নিজের ধ্যানজ্ঞান করেছেন প্রশান্ত কিশোর। দিল্লীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে তেমন জনসমক্ষে আসতেন না ভোটকৌশলী। কিন্তু, কেজরিওয়ালের প্রয়োজনে জনসমক্ষেও আসতে হয় প্রশান্ত কিশোরকে। আপ সুপ্রিমো যখন হিন্দু ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ততটা সরব হতে পারছিলেন না, তখন প্রশান্ত কিশোরই সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে বারবার টুইট করেন। প্রায় প্রতিদিন নিত্যনতুন ইস্যু তুলে সিএএ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ শানান। পাশাপাশি কংগ্রেস যাতে সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসাতে না পারে তা নিশ্চিত করতে কংগ্রেসকেও সমানে আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি তিনি। কেজরির পাশে দাঁড়াতে গিয়ে নিজের দল থেকে বহিষ্কৃত হতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু, তাতেও কর্তব্যচ্যুত হননি পিকে। নিখুঁত পরিকল্পনায় কেজরিকে তৃতীয়বারের জন্য দিল্লীর মসনদে বসিয়ে আপাতত নেপথ্য নায়কের ভূমিকায় প্রশান্ত কিশোরই। টুইট করে এই সাফল্যের জন্য দিল্লীবাসীকে ধন্যবাদও দিয়েছেন তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই পিকের সাফল্যে তৃণমূল শিবির অনেকটাই স্বস্তি পাচ্ছে। কারণ, তাঁদের নির্বাচনী পরামর্শদাতা আবারও সফল। তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে ব্যর্থতার নজির মোটে একটা। ২০১৭-তে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করার সময় দলকে উত্তরপ্রদেশে ভাল ফল করে দিতে পারেননি তিনি। তাছাড়া, সব ক্ষেত্রেই সফল। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে মোদীকে ক্ষমতায় আনা থেকে শুরু করে সদ্য মহারাষ্ট্রে শিবসেনাকে ক্ষমতায় আনা পর্যন্ত, পিকের সাফল্যের নজির অনেক। দিল্লীতে যেখানে ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি, সেখানেও পিকের পরামর্শে কেজরিওয়াল দুর্দান্ত ফল করলেন। আর তাতেই তৃণমূল সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধছেন।