সকালের দিকে কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গেসঙ্গে পোলিং বুথগুলিতে ভোটারদের লাইন দীর্ঘ হল। এবারই প্রথমবারের ভোটার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ছেলে। বাবা, মা, স্ত্রী এবং ছেলের সঙ্গে ভোট দিয়ে দিল্লীর তরুণ প্রজন্মকে ভোট দিতে উৎসাহ দিলেন তিনি।
কেজরিওয়ালের ছেলের মতোই এবার প্রথম ভোটার প্রিয়াঙ্কা–রবার্টের ছেলে রাইহান রাজীব বঢরাও। বাবা, মায়ের সঙ্গে ভোট দেওয়ার পর রাইহান রাজীব সবাইকে ভোট দিতে আবেদন জানিয়ে নতুন যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তাদের কাছে দাবি করলেন সরকারি পরিবহনের সুবিধা যেন সবাই পায় এবং ছাত্রছাত্রীদের পরিবহন খরচে ভর্তুকি মেলে।
প্রিয়াঙ্কার সঙ্গেই ভোট দেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী অসুস্থ সোনিয়া গান্ধী। রাহুল অবশ্য পৃথকভাবে একা ভোট দিয়ে যান।
শুধু ভোট দিতেই বলিউড থেকে এদিন দিল্লী উড়ে এসেছিলেন অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। শনিবার সকালে পরিবারের সঙ্গে নিজের ভোট দিয়ে বললেন, ‘প্রতিটি ভোটই গুরুত্বপূর্ণ।’
ভোট দেন সস্ত্রীক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, সস্ত্রীক মনমোহন সিং। মেয়ে প্রতিভার সঙ্গে ভোট দেন লালকৃষ্ণ আডবানি। ভোট দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষি লেখি, উপ রাজ্যপাল অনিল বৈজল সহ নেতানেত্রীরা। কেজরিওয়ালের শুক্রবারের হনুমান মন্দিরে পুজো দেওয়াকে ব্যঙ্গ করে এদিন সকালে ভোট দেওয়ার পর দিল্লীর প্রদেশ বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘হনুমানের বিগ্রহকে অপবিত্র করে দিয়েছেন কেজরিওয়াল। কারণ যে হাতে জুতো খুলেছিলেন তিনি সেই হাতেই তিনি মন্দিরের বিগ্রহের উপর মালা পরিয়েছেন।’ মন্দিরের পুরোহিতকে বিগ্রহকে ধুয়ে শুদ্ধ করতে নির্দেশ দেন মনোজ।
১১০ বছরের বাঙালি বৃদ্ধা কালীতারা মন্ডল ভোট দেন গ্রেটার কৈলাস বিধানসভা কেন্দ্রের চিত্তরঞ্জন পার্কের এসডিএমসি প্রাথমিক স্কুলে। তাঁকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে বুথে নিয়ে যান নিরাপত্তাকর্মীরা। ভোটদানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কালীতারা বললেন, ‘যবে থেকে ভোটার কার্ড পেয়েছি তবে থেকেই ভোট দিতে বুথে যাই। এটা আমাকে আনন্দ দেয়, শক্তি জোগায়।’ সবাইকেই ভোট দিতে আবেদন করেছেন দিল্লীর সব থেকে বয়স্ক ভোটার কালীতারা মণ্ডল।