আগামী শুক্রবারই কল্যাণীর মাঠে আইজল এফসি’র বিরুদ্ধে শেষ হোম ম্যাচ খেলবে ইস্ট বেঙ্গল। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ইস্ট বেঙ্গল- পাঞ্জাব এফসি ম্যাচ। ওই ম্যাচ থেকে ফিরতি ডার্বিসহ সব হোম ম্যাচ ইস্ট বেঙ্গল খেলবে সল্টলেক স্টেডিয়ামে। গত মঙ্গলবার রাতে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, ‘ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব লিখিতভাবে আবেদন করলে আই লিগের ম্যাচগুলির জন্য তাদের অনুরোধ অগ্রাধিকারের সঙ্গে বিবেচনা করে দেখা হবে। এর আগে চিঠি দিয়েছিল আইএফএ। ওরা বলেছিল ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে যৌথভাবে ম্যাচ সংগঠন করবে।’
ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে মঙ্গলবার বেশি রাতে আইএফএ ও ইস্ট বেঙ্গলের কথাবার্তা হয়। সেই মতো ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব ক্রীড়ামন্ত্রীকে ই-মেল করে জানায় আই লিগের বাকি ম্যাচগুলি তারা সল্টলেক স্টেডিয়ামে করতে চায়। ওই ই-মেল পাওয়ার পর বুধবার বিকেলে ইস্ট বেঙ্গলের ফুটবল সচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ক্রীড়ামন্ত্রী। ঠান্ডা মাথায় সমস্যা সমাধানের কথা বলেন লাল হলুদের ফুটবল সচিব। ক্রীড়ামন্ত্রী সল্টলেক স্টেডিয়ামের সিইওকে ডেকে আগামী সপ্তাহ থেকে ইস্ট বেঙ্গলের সব ম্যাচ সল্টলেক স্টেডিয়ামে করার নির্দেশ দেন। ক্রীড়ামন্ত্রী জানান, ‘ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব হোম ম্যাচের জন্য স্টেডিয়াম চেয়েছে। এখানে কোনও কর্পোরেট সংস্থা যুক্ত নয়।
তাই মাত্র ১৫ হাজার টাকায় আগামী সপ্তাহ থেকে সব হোম ম্যাচ সল্টলেক স্টেডিয়ামে সংগঠন করতে পারবে ইস্ট বেঙ্গল।’ কোয়েস কর্পোরেট সংস্থা। তাই কোয়েস মাঠ চাইলে এটিকে’র মতো ইস্ট বেঙ্গলকেও ১৫ লাখ দিতে হতো। এই অর্থ চাওয়া নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলছিল বিতর্ক। ক্রীড়ামন্ত্রী দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মিটে গেল সমস্যা। এই ব্যাপারে ভূমিকা আছে আইএফএ সভাপতি ও সচিবেরও। ইস্ট বেঙ্গলের মুখ্য কর্তা বললেন, ‘সল্টলেক স্টেডিয়ামে হোম ম্যাচ হলে মাঠে দর্শক বেশি হবে। উৎসাহিত হবেন ফুটবলাররা। কল্যাণী যাওয়ার ধকলও সহ্য করতে হবে না কোলাডোদের।’ মোহন বাগানেরও পাঁচটি হোম ম্যাচ বাকি। অপেক্ষা এখন এটাই দেখার, সবুজ মেরুন শিবির থেকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়?