সেনা জওয়ান ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে অজস্র গুলির আদান-প্রদানে শহিদ হলেন এক সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স জওয়ান। মৃত্যু হয়েছে দুই সন্ত্রাসবাদীরও। বুধবার শ্রীনগরের কাছে শালতেং এলাকায় চলে এনকাউন্টার।
সন্ত্রাসবাদীরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ করে গুলি ছোঁড়া শুরু করতেই তার যোগ্য জবাব দেওয়া শুরু করেন জওয়ানরা। এরপরই শুরু হয় তীব্র গুলি বিনিময়। সেনা বাহিনীর গুলিতে দুই সন্ত্রাসবাদী প্রাণ হারায়। আরও কোনও সন্ত্রাসবাদী লুকিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে গোটা শ্রীনগর জুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি।
জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরোটায় পুলিশের উপর নৃশংস হামলা চালানোর দিন পাঁচেকের মধ্যেই ফের এনকাউন্টার হল জম্মু ও কাশ্মীরে। গত শুক্রবারেও তীব্র গুলিবিনিময়ে মৃত্যু হয় তিন সন্ত্রাসবাদীর। আহত হন এক পুলিশকর্মী। নাগরোটার এক টোল প্লাজায় পুলিশের একটি ছোট্ট দলের ওপরে অতর্কিতে গুলি ছুঁড়তে থাকে সন্ত্রাসবাদীরা। পাল্টা গুলির জবাব দেয় পুলিশও।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, ওই এলাকা লাগোয়া জঙ্গলে ঢুকে পড়ে গা ঢাকা দেয় কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী। পরে আবার জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের বন টোল প্লাজার কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সেখানে তীব্র গুলিবিনিময় শুরু হয় সন্ত্রাসবাসী ও বাহিনীর মধ্যে। এর ফলে বিঘ্ন ঘটে যানচলাচলে। উধমপুরের জেলা উন্নয়ন কমিশনার পীযুশ সিংলা জানান, এনকাউন্টারের কারণে উধমপুরের সব স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।
পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, শ্রীনগরগামী একটি ট্রাকে চড়ে যাত্রা শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। ভোর পাঁচটা নাগাদ নাগরোটার ওই টোল প্লাজার চেকিং পয়েন্টে ট্রাকটি থামায় পুলিশ। তখনই তাদের উপর গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি প্রমুখের মতে, ‘নয়া অনুপ্রবেশকারীদের দলে ভিড়েছে এই সন্ত্রাসবাদীরা। তারা শ্রীনগর যাচ্ছিল। তারা কাঠুয়া ও হীরানগর দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তের কার্যক্রম চলছে।’