মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ও নদীয়ার রাণাঘটে পরপর দুটি সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুটি সভাতেই তিনি সিএএ ও এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করেন। মতুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে দুটি সভাতেই তিনি আবারও বলেন, এই রাজ্যে তিনি কোনও ভাবেই সিএএ লাগু করতে দেবেন না। জীবন দেবেন কিন্তু কোনও ভাবেই তিনি আত্মসমর্পণ করবেন না। আগের দিনের দুটি সভার তাঁর সেই ঝাঁজ বজায় ছিল পরদিন নদীয়ারই কৃষ্ণনগরে। বুধবার এখানে তিনি কেন্দ্রের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রথম থেকেই খড়্গহস্ত ছিলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ওপর।
কৃষ্ণনগরের কলেজ মাঠে দলীয় কর্মিসভায় মমতা জানান, তাঁর অনুপ্রেরণা ছাত্র-যুবরা। এরপর তিনি বলেন, সাম্প্রতিক কালে রাজ্যে বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে অনেকে তৃণমূল কর্মী আছেন। এদিন পরপর সেই সব কথার উল্লেখ করেন।
এরপর তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বলেন, ‘বিজেপি’র মেজরিটি আছে বলে যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে। আমাদের সাংসদদের সতর্ক থাকতে হয়। আজকে অনেকে প্রতিবাদ করছেন। কিন্তু, আমরা প্রথম থেকেই প্রতিবাদ করছি। এখন বিল আনার আগে কোনও সময় দেয় না। আমি আগে ভেবেছিলাম সেনসাস। পরে দেখি তাতে ৬টি ‘ক্লজ’ আছে। তাতে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। বাবা-মায়ের জন্ম সম্পর্কিত সেই তথ্য না দিতে পারলে ঘ্যাচাং ফু!’
বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘যাঁদের ভোট নিয়ে জিতল, নোটবন্দী করে তাঁদের বিপদে ফেলে দিল এই সরকার। এই সরকারের আমলে ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে। আমাদের এই রাজ্যে আমরা ৪০ শতাংশ কমিয়েছি। সারা ভারতে দারিদ্র বেড়েছে। এমনকী, বাংলাদেশের থেকে বেড়েছে। আমাদের রাজ্যে আমরা দারিদ্র কমিয়েছি। আমার রাজ্যে মানুষ বিনা পয়সায় ওষুধ পাচ্ছে। চিকিৎসা পাচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে করেছি। তা আর কোথাও নেই। আয়ুষ্মান প্রকল্প করেছে কেন্দ্র। তাতে রাজ্যকেও টাকা দিতে হয়। এতে কেন্দ্রের কৃতিত্ব কোথায়? মানুষের জন্য আমরা প্রচুর প্রকল্প করেছি।’
আগের মতোই সিপিএম-কংগ্রেসকেও তুলোধনা করেন তিনি। বলেন, ‘এখন সবাই এক হয়ে গিয়েছে। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজপি এখন জগাই-মাধাই-গদাই। সবাই এখন এক হয়ে গিয়েছে।’