রামমন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট গঠন করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন মাস সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত বছর ৯ নভেম্বরে শীর্ষ আদালতের ওই রায়ের পর, দিল্লি নির্বাচনের তিন দিন আগে, বুধবার লোকসভায় সেই ট্রাস্ট গঠন করার ঘোষণা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ট্রাস্ট গঠনের জন্য সুপ্রিম কোর্ট যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল তাও শেষ হওয়ার মুখে।
এ দিন লোকসভায় মোদী বলেন, ‘আমার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করা হবে। ওই ট্রাস্ট রাম মন্দির নির্মাণ ও সেই সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় নিয়ে স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।’পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জমি দিতে রাজি হয়েছে উত্তরপ্রদেশ। ভারতে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি ও জৈন – সবাই একই পরিবারের সদস্য। সবাইকে অযোধ্যায় রাম মন্দির গঠনে সাহায্যের জন্য আবেদন করছি।’
গত বছর নভেম্বরে অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি হিন্দু মামলাকারীকে দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে। অন্যদিকে, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অযোধ্যার অন্যত্র ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। মন্দির বানাতে তিন মাসের মধ্যে ট্রাস্ট বানানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এই রায় দিতে গিয়ে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টকে গুরুত্ব দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এএসআই-এর রিপোর্টে বলা হয় যে খালি জমিতে বাবরি মসজিদ তৈরি হয়নি। মসজিদের নীচে কাঠামোর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে এবং এই কাঠামো ইসলামিক স্থাপত্য নয় বলে জানিয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। তবে মন্দির ভেঙেই যে মসজিদ তৈরি হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ এএসআই দিতে পারেনি।