এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বেই করোনা আতঙ্কে ভুগছে সাধারণ মানুষ। এই মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় কার্যত অসহায় চিনের মত দেশ। সেই দেশ থেকেই উৎপত্তি করোনার। আজ নতুন করে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫০০। আক্রান্ত ২০ হাজারের বেশি।
ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সৌদি আরবে কর্মরত এক ভারতীয় নার্স। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, তাইল্যান্ড এমনকি আমেরিকার মতো দেশেও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের খোঁজ মিলেছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন দেশে এই মারণ ভাইরাস ছড়ানোর খবর আসছে।
অন্যদিকে করোনা সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি করা হল পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা এক যুবককে। কয়েকদিন ধরেই জ্বর-সর্দিতে ভুগছিলেন তিনি। এলাকার চিকিৎসকদের পরামর্শে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বুধবার সকালে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি। তবে রক্তের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পরই বোঝা যাবে আদৌ ওই যুবক করোনা আক্রান্ত কি না।
করোনা ভাইরাস ঠেকাতে শুরু থেকেই বদ্ধপরিকর রাজ্য। বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দমদম বিমানবন্দরে। জানা গেছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তিনটি কেন্দ্র তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গে নেপাল সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে। চিনের ভাইরাস নিয়ে বাংলার মানুষ যাতে আতঙ্কিত না-হন, সেই জন্য হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
তার দু’টি নম্বর হল ০৩৩-২৩৪১২৬০০ এবং ১৮০০৩১৩৪৪৪২২২। করোনা নিয়ে কারও প্রশ্ন থাকলে সংশ্লিষ্ট নম্বরে ফোন করলেই সাহায্য মিলবে। এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান, এ রাজ্যের অনেকে কর্মসূত্রে বা পড়াশোনার জন্য চিনে আছেন। তাঁদের কথা ভেবে আত্মীয়েরা আতঙ্কিত হয়ে পড়তে পারেন। তা যাতে না হয়, সেই জন্য হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘হেল্পলাইন নম্বরে চিকিৎসকেরাও থাকবেন। ওই রোগ সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন থাকলে তার উত্তর দেওয়া হবে।’