অভিযোগ তোলা হয়েছিল জমি থেকে পেঁয়াজ চুরি করার। সেই অভিযোগের জেরেই গ্রামে বিজেপি উপ-প্রধানের উপস্থিতিতে বসানো হয়েছিল সালিশি সভা। সেখানেই মারধোর করা হয় ৬০ বছরেরও বেশি বয়সের এক বৃদ্ধাকে। তার জেরেই অপমানিত বৃদ্ধা আত্মহত্যা করেন। ঘটনার জেরে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে। ক্ষোভ দেখা দিয়েছে উপ-প্রধানের ভূমিকা নিয়েও। ঘটনার জেরে ওই বৃদ্ধার পরিবার ওই উপ-প্রধান সহ ৫জনের নামে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে।
আত্মঘাতী বৃদ্ধার নাম মিনতি মণ্ডল (৬৪)। ঘটনার বিচার চেয়ে পুলিশের দারস্থ হচ্ছেন বৃদ্ধার আত্মীয়রা। সালিশি সভার কথা মেনে নিলেও নিজেদের পিঠ বাঁচাতে বৃদ্ধাকে মারধর করার বা অর্থ জরিমানা করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির প্রতীকে জেতা উপপ্রধান ননীগোপাল মণ্ডল। তবে পরিবারের স্পষ্ট অভিযোগ মারধর করা হয় ওই বৃদ্ধাকে।
সোমবার ওই বৃদ্ধার পরিবারের তরফে ননীবাবু সহ মোট ৫ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বৃদ্ধার পরিবারের অভিযোগ, সালিশি সভায় যখন ওই বৃদ্ধাকে মারধর করা হচ্ছিল বা জরিমানা করা হচ্ছিল তখন সেখানে উপস্থিত থেকেও কোনও রকমের বাধা দেননি ননীগোপাল মণ্ডল। বৃদ্ধার আত্মীয়দের অভিযোগ, জরিমানার টাকা শোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন বৃদ্ধা। বৃদ্ধার মেয়ে বীণা সরকার জানান, ‘প্রকাশ্য সালিশি সভায় অপমান আর জরিমানার টাকা জোগাড় করতে না পারায় মা দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। মা তো আগেই বলেছিল কারও জমি থেকে পেঁয়াজ চুরি করেনি। তারপরেও ওরা মিথ্যা অভিযোগে সালিশি সভা বসালো।’ বীণা এই ঘটনার জন্য দোষী ৫জনেরই বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি তুলেছে।