শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের পরই মোদী সরকারের বাজেটকে একহাত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘প্রাচীন এবং গর্বের সরকারি সংস্থাগুলিকে এইভাবে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত দেখে আমি হতবাক এবং স্তম্ভিত। এই সিদ্ধান্তের মানে হল সুরক্ষার বিনাশ।’ এবার দলনেত্রীর সুরেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নীকরণ নিয়ে মোদী সরকারকে বিঁধল তৃণমূল। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় সরব হলেন এনআইসি-র শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে বিপিসিএল, এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নীকরণ নিয়েও মোদী সরকারকে তুলোধনা করেন তিনি। বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা জনগণের সম্পত্তি। কোনও আলোচনা ছাড়াই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই সরকারের।
দিন দুয়েক আগেই রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সংশোধনী চেয়ে নোটিস দিয়েছিল তৃণমূল। দফায় দফায় রাজ্যসভা মুলতুবি হওয়ায় বলার সুযোগ পাননি সুখেন্দুশেখর। তিনি বলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশের ঐক্যের পরিপন্থী। এই আইনের পিছনে মোদীবল সরকারের গোপন কর্মসূচী রয়েছে। ধর্মীয় মেরুকরণেরও অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টই বলেছেন বাংলায় কোনও ভাবেই সিএএ-এনআরসি-এনপিআর হবে না। যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণে মহাত্মা গান্ধীর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। গান্ধীজির উদ্ধৃতি তুলে ধরে সুখেন্দুশেখর বলেন, ‘ভারত হিন্দুদের দেশ হয়ে গেছে এটা ভাবা ভুল। এখানে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের সকলের জন্যই ভারত।’