এ বছরই তিনি অবসর নেবেন, তা আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার এক মাত্র এটিপি প্রতিযোগিতা টাটা ওপেনে তিনি এ বার সব চেয়ে বড় আকর্ষণ। কারণ, দেশের মাঠে তাঁকে শেষ বার খেলতে দেখা যাবে এখানেই। তিনি প্রখ্যাত ভারতীয় টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ। এ রকম একটা মুহূর্তে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা কতটা কঠিন? লিয়েন্ডার বলছেন, ‘এ বছর পুণেতে এই প্রতিযোগিতায় খেলতে আসাটা ভীষণ আবেগঘন ব্যাপার ছিল। ৩১ বছর ধরে টেনিস খেলে আসছি। এটাই আমার শেষ বছর। আশা করি আমার ভক্তদের জন্য, দেশের টেনিসপ্রেমীদের জন্য শেষ বার আমি জ্বলে উঠতে পারব।’
যতই প্রস্তুতি থাক, আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করাটা যে সোজা হবে না সেটাও জানেন তিনি। সেইজন্য তিনি বলেছিলেন, ‘চেষ্টা করব আবেগরুদ্ধ না হওয়ার। মনে হয় না, পারব। এটাই আমার শেষ ইন্ডিয়ান ওপেন এটা মাথায় থাকবেই। যে দিনই হোক, কোর্টে নামাটা সোজা হবে না তাই। এখানে সিঙ্গলস, ডাবলসে অনেক ভাল ম্যাচ খেলেছি। স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক আমায় সমর্থন করেছেন। যে ভাবে সবাই সমর্থন করে এসেছেন, বিশেষ করে গত এক মাসে, তাতে আমি আপ্লুত। আমি জানি এর পরে দ্বিতীয় ইনিংস রয়েছে। বাঁচার জন্য অন্য একটা জীবন রয়েছে। চ্যাম্পিয়ন তৈরি করা, আরও অনেক কিছু করার রয়েছে, আরও বিনোদন দেওয়ার রয়েছে, তবে দেশের মাঠে পেশাদার লিয়েন্ডার পেজের ট্রেন এখানেই থামছে।’
এই প্রতিযোগিতায় ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে ডাবলসে নামবেন লিয়েন্ডার। সঙ্গী অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু এবডেন। দেশের বাইরে প্রতিযোগিতা, গ্র্যান্ড স্ল্যামে নামার পাশাপাশি ভারতে খেলতে নামাটা তাঁর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাও জানান দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা। তিনি বলছেন, ‘অস্ট্রেলীয় ওপেন খেলে আসলাম। এর পরে উইম্বলডন, ফরাসি ওপেন, যুক্তরাষ্ট্র ওপেনেও নামব। তবে ভারতে খেলতে নামাটা সব সময়ই বিশেষ ব্যাপার। তরুণ প্রজন্মকে আরও উৎসাহ দেওয়া যায়, যাতে ওরা কোর্টে নিজের সেরাটা দিতে পারে। খেলোয়াড় জীবনেই এটাই আমার মন্ত্র ছিল, সেরাটা দিতে হবে। সমস্ত ভারতীয় খেলোয়াড়দের আমি এই প্রতিযোগিতার জন্য শুভেচ্ছা জানাতে চাই। এই প্রতিযোগিতা ক্রমশ বড় হয়ে উঠছে। আগামী দিনে আরও বড় হবে।’