প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়াই হোক বা অশালীন-বেফাঁস মন্তব্যের ফোয়ারা ছোটানো – সবেতেই গেরুয়া শিবিরের জুড়ি মেলা ভার। বিরোধী দলের নেতানেত্রীই হোক বা বিরোধী মত পোষণকারী কোনও বিশিষ্টজন, তাঁদের বিঁধতে গিয়ে বরাবরই বেপরোয়া মনোভাব দেখিয়েছেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। তবে রাজধানীর ভোটের আগে এখন পূর্বের সব কীর্তিকেই ছাপিয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির। দলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদরা এখন প্রকাশ্যেই বলছেন, ‘দেশ কি গদ্দারো কো, গোলি মারো শালো কো।’ যা নিয়ে এখন নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র। কিন্তু এবার সামনে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গুলি করে মারুন দেশদ্রোহীদের। এই স্লোগান তোলার অনুমতি দিয়েছিল দিল্লী পুলিশই। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হল সেই চিঠি, যার মাধ্যমেই দিল্লী পুলিশের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, অনুমতিও দিয়েছিল দিল্লী পুলিশ। চিঠিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করলেন সমাজকর্মী সকেত গোখেল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দিল্লীতে নির্বাচনী প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর স্লোগান তুলেছিলেন, ‘গদ্দারো কো...’। সামনে জনতা সেইসময়ে চিৎকার করে উঠেছিল, ‘গোলি মারো সালো কো...’। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সেই ভাষণ ঘিরে তোলপাড় দেশের রাজনীতি। বিতর্কিত ভাষণের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে দিল্লির নির্বাচনী প্রচার থেকে বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সকেত গোখেল সোশ্যাল মিডিয়ায় এও জানিয়েছেন, ‘বিতর্কিত স্লোগান তোলার অনুমতি দিয়েছিল দিল্লী পুলিশ। তারপরই ওই জনসভা ৮ ফেব্রুয়ারি করতে বলেছিল তারা।’ স্বাভাবিকভাবেই এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে দিল্লী পুলিশ-সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।