২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হিসেবে ভোটে মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে প্রতি বছর গড়ে ২ কোটি কাজের সুযোগ তৈরি করবেন। কিন্তু চাকরির সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে ছ’বছরে মেরেকেটে ১৯ শতাংশ কথা রেখেছেন নরেন্দ্র মোদী।আর্থিক সমীক্ষা অন্তত এমনটাই বলছে।
এ বিষয়ে মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কে সুব্রহ্মণ্যন জানালেন, ২০১৭-১৮ পর্যন্ত সাত অর্থবর্ষে নিয়মিত বেতন বা মজুরির কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে ২.৬২ কোটি। অর্থাৎ, ৭ বছরে ২.৬২ কোটি। যেখানে প্রতি বছর চাকরি হবে ২ কোটি, এমন কথা ছিল।
২০১১-১২ থেকে ২০১৭-১৮ সালে গ্রাম-শহর মিলিয়ে নিয়মিত বেতন/ মজুরির নতুন কাজ হয়েছে ২.৬২ কোটি। বছরে গড়ে ৩৭.৪ লক্ষ! ত্রৈমাসিকে দেশে বেকারত্বের হার ৭.৫%। টানা সাত ত্রৈমাসিকে তা ঊর্ধ্বমুখী। এনএসএসও-র তথ্যেও নোটবন্দির ঠিক পরে ২০১৭ সালে বেকারত্ব সাড়ে চার দশকে সর্বোচ্চ (৬.১%)।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নোটবন্দি এবং তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর পরে যে অজস্র কাজ খোয়া গিয়েছে, তার হিসেব কোথায়? মোদী সরকারকে তার হিসেব দিতে হবে। গাড়ি ও সংশ্লিষ্ট শিল্পে কয়েক লক্ষ মানুষের চাকরি গিয়েছে। তাছাড়াও চাঙ্গা চাহিদায় ভর করে অর্থনীতিকে ছন্দে ফেরাতে নিয়মিত আয়ের চাকরি বৃদ্ধি জরুরি। কারণ, আয়ের নিশ্চয়তা থাকলে তবেই ব্যয়ে স্বচ্ছন্দ বোধ হয়।