‘ধর্মের ভিত্তিতে আইন আমরা মানব না।’ এতদিন বিরোধী দলের নেতারা এমনটা বলছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর চোখে চোখ রেখে সংসদ ভবনে দাঁড়িয়ে এবার একই কথা বললেন এনডিএ শরিক শিরোমণি অকালি দলের সাংসদ সুখদেব সিং ধিঁড়সা। সুখদেবকে আগে সাসপেন্ড করেছিল তাঁর দল। তবে গতকাল তিনি দাবি করেন যে, তিনি দলের হয়েই প্রতিনিধিত্ব করছেন।
প্রসঙ্গত, আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। তার আগে বৃহস্পতিবার প্রথামাফিক সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। প্রায় সব দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকলেও ছিল না শিবসেনা ও জেডিইউ। বাকি সব দলের প্রতিনিধিই বক্তব্য পেশ করেছেন। নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়েছেন। তৃণমূলের তরফে যেমন ছিলেন লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
সুদীপ বলেছেন, এক সময় কংগ্রেস লোকসভায় ৪১৫ আসন নিয়ে সরকারে ছিল৷ এখন তারা ৪৪-এ এসে ঠেকেছে। বিজেপি নেতাদের এ কথা মনে রাখা উচিত। আজ তাঁরা ৩০৩, ভবিষ্যতে মাঝের শূন্য সরে গিয়ে শুধু ৩৩ হয়ে যেতেও পারেন। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠতার অহংকার বর্জন করা উচিত।’ অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে এবারের অধিবেশনে সিএএ-এনআরসি-এনপিআর ও বেকারত্ব এবং অর্থনীতি নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন ডেরেক।
উল্লেখ্য, এই ধরণের বৈঠকে সাধারণত বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের বক্তব্যের সময় তা এড়িয়ে যেতেই অভ্যস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকালও তা-ই করেন। তবে শরিক দলের নেতারা বলার সময় তিনি বেশ স্বস্তিতেই বসেছিলেন। তখনই মোদীর চোখে চোখ রেখে ক্ষোভ উগড়ে দেন অকালি দলের নেতা সুখদেব সিং। সূত্রের খবর, তৃণমূলের সুরেই সিএএ-বিরোধিতায় সরব হন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি।