অস্ট্রেলীয় ওপেনে নাদাল বনাম কিরিয়স দ্বৈরথ নিয়ে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত নাদাল নাটকীয় ম্যাচ জেতেন ৬-৩, ৩-৬, ৭-৬, ৭-৬ ফলে। হারলেও দারুণ লড়াই করেন টেনিসের বিতর্কিত তারকা কিরিয়স। হেরে যাওয়ার পরে সাংবাদিক সম্মেলনে কিরিয়স। বলেন, ‘‘চতুর্থ সেটে একটা সময় পিছিয়ে ছিলাম। তখন আমি কোবির কথা ভাবি এবং ফিরে আসার প্রেরণা পাই।’’ নাদালের সঙ্গে কিরিয়সের খটাখটিরও একটা ইতিহাস রয়েছে। নাদালের সার্ভিস করার ধরন নিয়ে রসিকতা করে সেই বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছিলেন কিরিয়স। তা নিয়ে জিজ্ঞেস করলে নাদাল অবশ্য ম্যাচ জেতার পরে বলে যান, ‘‘আমার ও সবে কিছু এসে-যায় না। আমি এখানে টেনিস খেলতে এসেছি।’’ ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়েও কিরিয়স দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছিলেন। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে ডমিনিক থিমের সঙ্গে খেলবেন নাদাল। তবে প্রতিপক্ষের প্রশংসাও করেন তিনি, ‘‘কিরিয়স যখন এ ভাবে খেলে, টেনিসকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায় ও।’’
এই ম্যাচের আগে নাদাল একটাও সেট খোয়াননি। তিনি এ দিন কিরিয়সের সামনে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। ম্যাচের ফল নাদালের পক্ষে ৬-৩, ৩-৬, ৭-৬ (৮-৬), ৭-৬ (৭-৪)। ম্যাচের পর নাদাল বলছেন, ‘নিক যদি আজকের মতো ফর্মে খেলে, যদি এই রকম সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি ওর থাকে, তা হলে ও আমাদের সমর্থন পাবে। আমি চাই ও এই ভাবে কঠোর পরিশ্রম করুক। কারণ, এই ট্যুরে ও অন্যতম সেরা প্রতিভা।’ পরের রাউন্ডে তাঁর সামনে ডোমিনিক থিয়েম। যিনি এ দিন ৬-২, ৬-৪, ৬-৪ হারালেন গেইল মঁফিসকে।
মেয়েদের বিভাগে সিমোনা হালেপ কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছেন। বেলজিয়ামের এলিস মার্তেন্সকে হারান ৬-৪, ৬-৪ ফলে। ২০১৮-তে মেলবোর্নে ফাইনালে উঠেছিলেন হালেপ। এ বারে সেরিনা, শারাপোভার বিদায়ের পরে তিনি অন্যতম ফেভারিট। হালেপ বলেন, ‘‘আবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলব ভেবে খুব খুশি। নিজের খেলা নিয়েও সন্তুষ্ট।’’ এই নিয়ে চতুর্থ বার অস্ট্রেলীয় ওপেনের শেষ আটে উঠলেন তিনি।