যেটা সত্যি সেটা সত্যি, তৃণমূল কংগ্রেস যা আন্দোলন করেছে তা পৃথিবীর আর কোনও দল করেনি। সোমবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মিটিংয়ে এ কথা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের সভায় শুরু থেকেই আগ্রাসী ভূমিকা নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নিশানায় প্রত্যক্ষভাবে ছিল সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর। মমতা জানিয়ে দেন, তৃণমূল যে আন্দোলনে নেমেছে তার ঝাঁজ সরস্বতী পুজোর পর আরও বাড়বে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে বিজেপি যে জেলায় জেলায় অভিনন্দন যাত্রা করছে তাকেও খোঁচা দেন মমতা। বলেন, ‘ওটা অভিনন্দন যাত্রা না, বাম্বু দেওয়ার জন্য বিসর্জন যাত্রা।’ মমতার কথায়, বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের এই জমানায় কেউ কোনও প্রশ্ন করতে পারছে না। প্রশ্ন করলেই বলা হচ্ছে গুলি করে দেবে। ‘একটা রঙের ওপর ভিত্তি করে দেশ চলতে পারে না’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র চিঁড়ে খাওয়া মন্তব্যও এদিন নিশানায় ছিল মমতার। তাঁর সোজা সওয়াল, ‘কে চিঁড়ে খাবে আর কে খাবে না সেটা বিজেপি ঠিক করে দেবে? বিজেপিকে বুঝতে হবে আমরা ক্রীতদাস নই, ভারতের নাগরিক।’ ছাত্র-যুবদের সভা থেকে পড়ুয়াদেরও বড় দায়িত্ব দেন মমতা। ছাত্র প্রতি ১০০০টি করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সিএএ বিরোধী প্রচারের নির্দেশ দেন তিনি। আগামীদিনে ছাত্র-যুবদের নেতৃত্বেই যে আন্দোলন চলবে সেটাও সাফ করে দেন মমতা।
একই সঙ্গে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সিএএ-এনআরসি’র বিরুদ্ধে ফের একবার মানববন্ধন করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এর পাশাপাশি ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে ছাত্র-যুবদের একাধিক কর্মসূচির কথাও জানান। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে যেভাবে ছাত্র আন্দোলন গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই রেশই ধরে রাখার পরোক্ষ নির্দেশ দেন নেত্রী। বাকি সবাই যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন তৃণমূল কংগ্রেস জেগে থাকে বলে দাবি করেন মমতা। আর দেশের কঠিন সময়ে তৃণমূলই নেতৃত্বই দেবে বলে জানান তৃণমূল সুপ্রিমো।