ঠিক এক বছর আগে কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি কথা দিয়েছিলেন পরের বছরই সেঞ্চুরি করব। ৮৭টা বই ততদিনে লেখা হয়ে গিয়েছিল তাঁর। আরও ১৩টি বই লেখা হয়ে গেলেই সেঞ্চুরি হবে।
কাল মঙ্গলবার কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করবেন তিনি। তার আগে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘এ বছরও অনেকগুলো বই বেরোচ্ছে। সব কটির প্রুফ দেখা এখনও শেষ হয়নি। তবে হ্যাঁ, এ বার আমার লেখা ৯৪৬টি কবিতা নিয়ে একটি ‘কবিতাবিতান’ প্রকাশ হবে বইমেলায়।’
গত বছর বইমেলার উদ্বোধন মঞ্চে খোলামেলা ভাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আসলে প্রচণ্ড ব্যস্ততার কারণেই তাঁর সব সময়ে লিখতে বসা হয় না। কখনও কখনও খুব ক্যাজুয়ালি লিখে ফেলেন তিনি। কখনও কখনও বইয়ের ভূমিকা তিনি ফোনেই ডিক্টেশন দিয়ে দেন।
এদিন নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, খবরের কাগজ, ফাইল ইত্যাদি পড়তে পড়তেই সময় চলে যায়। কাউকে যদি পাই যিনি লিখে দেবেন (মুখ্যমন্ত্রী ডিক্টেশন দেবেন, উনি লিখবেন), তা হলে ভাল হয়।
গত বছর বইমেলায় মুখ্যমন্ত্রীর সাতটি বই প্রকাশিত হয়েছিল। মমতা এ দিন জানান, অন্তত একশটি বই লেখার লক্ষ্য রয়েছে তাঁর। প্রতিবারই শিশুদের জন্য একটি বই লেখেন তিনি। এ বারও লিখেছেন। তা কাল প্রকাশ হবে। তা ছাড়াও আরও বেশ কিছু বই লিখেছেন। শেষ মুহূর্তে সবগুলির প্রুফ দেখতে পারেননি। আজ কাজ শেষ করে সেগুলোয় হাত দেবেন।
২০১৯ সালের বই মেলায় একটা উর্দু শায়েরির বই লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছোটদের জন্য বই ছাড়াও ‘নামাঞ্জলী’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছিল। তা ছাড়া বিভিন্ন উদ্ধৃতি নিয়ে তাঁর বই প্রকাশিত হয়েছে, নাম আলোকবর্তিকা।