সিএএ নিয়ে এবার খোদ বিজেপি শিবিরের মধ্যেই চরম অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হলো। বিজেপি নেতা চন্দ্র বসুর নিজেই দলের মধ্যে বোমা ফাটিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই আইন মানুষের ওপরে চাপিয়ে দেবেন না। বরং সবাইকে বুঝিয়ে বলুন। তাঁর কথায়, ‘আমি আমার দলের নেতৃত্বকে পরামর্শ দিয়েছি, নাগরিকত্ব আইনে সামান্য পরিবর্তন করলেই বিরোধীদের বিক্ষোভ বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের নির্দিষ্ট করে বলা উচিত, নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের জন্য এই আইন করা হয়েছে। কোনও ধর্মের কথা উল্লেখ করা উচিত নয়। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া উচিত আলাদা।’
পরে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ হল মানুষকে বুঝিয়ে বলা, আমরা যা বলছি, তা ঠিক। বিরোধীরা ভুল বলছে। আমাদের উদ্ধত হওয়া উচিত নয়। সংসদে আমাদের অনেক এমপি আছেন বলেই আমরা কাউকে ভয় দেখাতে পারি না। তার চেয়ে আমাদের মানুষকে বুঝিয়ে বলা উচিত, এনআরসি হলে তাঁদের কী লাভ হবে।’
নাম না করেও চন্দ্র বসু আসলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথাই বলতে চেয়েছেন বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। দিলীপ ঘোষ বেশ কিছুদিন ধরে এনআরসি ও সিএএ-র সমর্থনে বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনায় জনসভায় দিলীপবাবু বলেন, ‘৫০ লক্ষ মুসলিম অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দরকার হলে তাঁদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।’
১ ডিসেম্বর সংসদে নাগরিকত্ব আইন পাশ হয়। তার পরেই দেশ জুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত হয়ে যেই অ-মুসলিমরা ভারতে পালিয়ে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এরপরই বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হয়, ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে মোদী সরকার। তারপরই এই আইনের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ।-