নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আরও চড়াতে পাঞ্জাবের পর এবার সব কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে সিএএ প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাশ করা হবে বিধানসভায়। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সাফ সংকেত দিয়েছে যে, পাঞ্জাবের পথেই এবার চলবে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়। সেইসব রাজ্যে বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ করানো হবে। দেশজুড়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি চলছে। এবার কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে এই প্রস্তাব পাশ করে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর আরও বেশি করে রাজনৈতিক চাপ বাড়াতে চাইছে কংগ্রেস হাইকমান্ড।
কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল জানিয়েছেন, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁর কথায়, ‘‘পাঞ্জাবের পর রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মত সমস্ত কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে সিএএ-র বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। যাতে কেন্দ্রকে এই আইন নিয়ে পুর্নবিবেচনা করার বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া যায়।’’
গত মাসে দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিকে সিএএ-সহ জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) এবং জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জি (এনপিআর)-র বিরোধিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠকেও সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলের নেতা আহমেদ পটেলের মন্তব্য, ‘‘যখন এতগুলি রাজ্য বিধানসভায় এই আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করা হবে, তখন কেন্দ্রের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা যাবে, তা হল এটি গুরুত্ব সহকারে (সিএএ) পুনর্বিবেচনা করা উচিত।’’
কংগ্রেসের এই অবস্থান থেকে এটা স্পষ্ট যে, আরও বেশি সংখ্যক রাজ্য বিধানসভায় সিএএ-এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করানো কেবল সিএএ বিরোধী হাওয়া প্রবল করাই নয়, এই আইনের বৈধতাকেও প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করা। দু’দিন আগে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং সিএএ-র বিরুদ্ধে আইনসভায় একটি প্রস্তাব পাশ করান। এই আইন বৈষম্যমূলক বলে উল্লেখ করে কেন্দ্রের কাছে আইন বাতিল করার অনুরোধ করা হয়েছে। কংগ্রেসের রাজনৈতিক কৌশলবিদ ও দলের কোষাধ্যক্ষ আহমেদ প্যাটেল রবিবার বলেছেন, পঞ্জাবের পরে কংগ্রেস শাসিত অন্যান্য রাজ্যেও সিএএ প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাশ করানো হতে পারে।