আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠান ঘিরে প্রথম থেকেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। এ হচ্ছিল, কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন না হওয়ার কারনে এবার এখানে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি কলেজ পড়ুয়াদের। আর এবার এই কর্মসূচিকে তীব্র কটাক্ষে বিঁধল কংগ্রেস।
সোমবার দিল্লীর তালকোটরা স্টেডিয়ামে পড়ুয়াদের মনোবল বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র আয়োজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে অংশ নেয় হাজার দু’য়েক পড়ুয়া। গোটা দেশ থেকে অন্তত ২ কোটি পড়ুয়া মোদীর এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে প্রায় দু’হাজার পড়ুয়াকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এবং লক্ষাধিক পড়ুয়াকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকেই ‘অকারণ সময় নষ্ট’ বলে কটাক্ষ করেছে।
কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল মোদীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘অকারণে পড়ুয়াদের সময় নষ্ট করার কোনও মানেই হয় না। আপনি বরং পড়ুয়াদের একা ছেড়ে দিন। ওদের ওদের মতো পড়াশোনা করতে দিন। অকারণে, ওদের মাথার উপর চাপ বাড়ানোর কোনও প্রয়োজন নেই। যদি আলোচনা করতেই হয়, তাহলে আসুন না, আপনার ডিগ্রি নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।’ আরেক কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরি এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আসল ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনা করতে চাইছেন না। তাই নজর ঘোরাতে এসব করছেন। যদি, সাহস থাকে তাহলে কখনও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নিয়ে আলোচনায় বসুন। লাইভ টেলিকাস্টে আলোচনা হোক।’
এদিন ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর শিক্ষা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী মাসে পড়ুয়াদের বোর্ডের পরীক্ষা। তার আগে এদিন রীতিমতো শিক্ষক এবং পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন তিনি। এদিন মোদী বললেন, ‘প্রত্যেক ব্যর্থতাই সাফল্যের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া।’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘পরীক্ষার নম্বর কখনও সাফল্যের মাপকাঠি হতে পারে না। পরীক্ষায় ভাল নম্বর হল না মানেই জীবন শেষ নয়।’