অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতের পাহাড়প্রমাণ আত্মবিশ্বাসের মূলে কুঠারাঘাত করেছিল অ্যারন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়া। ভারতের বিশ্বজয় করার মঞ্চেই ফিঞ্চ ও ওয়ার্নারের জোড়া শতরানে ভর করে ১০ উইকেটে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। উইকেটের বিচারে ভারতের বিরুদ্ধে সেটাই ছিল ক্যাঙ্গারু বাহিনীর সবচেয়ে বড় জয়।
তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ায় আজ মরণ বাঁচন ম্যাচে নেমেছিল ভারত। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে ভেঙে পড়েছিল ভারতীয় ব্যাটিং ব্রিগেড। কিন্তু দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেই ভুল শুধরে নিয়েছে কোহলি ব্রিগেড। যার ফলে শেষ অবধি ধাওয়ান, কোহলি ও শেষদিকে রাহুলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৪০ রান করল ভারত।
মরণ বাঁচন এই ম্যাচে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। গত ম্যাচ থেকে শিক্ষা পেয়ে ব্যাটিং অর্ডারে বদল আনে টিম ম্যানেজমেন্ট। যদিও ওপেনিং করতে নেমেছিলেন রোহিত ও ধাওয়ান। গত ম্যাচে ওপেনিং জুটি ফ্লপ করলেও এদিন কিন্তু অন্য মেজাজেই ছিলেন ধাওয়ান-শর্মা। প্রথম উইকেটে ৮১ রান যোগ করেন তাঁরা। কিন্তু ১৪তম ওভারে জাম্পাকে সুইপ করতে গিয়ে আউট হন রোহিত (৪২)। এরপর ভারতের রানের গতি এগিয়ে নিয়ে যান ধাওয়ান ও কোহলি। দুজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ১০৩ রান। একটা সময় ভারতীয় জুটির সামনে অসহায় লাগছিল কামিন্স, স্টার্কদের।
কিন্তু শেষমেশ অস্ট্রেলিয়াকে সাফল্য এনে দেন কেন রিচার্ডসন। ব্যক্তিগত ৯৬ রানে ক্যাচ আউট হয়ে যান শিখর। চার নম্বরে রাহুলের বদলে শ্রেয়স নামলেও সফল হননি (৭)। বরং পাঁচে নেমে দলের হাল ধরেন লোকেশ রাহুল। ২০১৯ সালটা তাঁর জন্য খুব একটা ভাল না গেলেও, এই বছর বেশ ভালই ফর্মে আছেন তিনি। এদিনও দলের স্বার্থে লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে নেমেও রান করে গেলেন। কোহলি ও রাহুল মিলে যে ছন্দে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল ৩৫০ রান হাসতে হাসতেই পেড়িয়ে যাবে ভারত। কিন্তু জাম্পার বলে স্টার্ক অসাধারণ দক্ষতায় ক্যাচ ধরে সাজঘরে পাঠান কোহলিকে (৭৮)।
শেষদিকে রাহুল ও জাদেজা মিলে রানের গতি কিছুটা বাড়ানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই শেষমেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪০ রান করে ভারত। শেষ ওভারে যদিও রান আউট হন রাহুল (৮০)। অজি বোলারদের মধ্যে এদিন একমাত্র অ্যাডাম জাম্পা ছাড়া কেউই সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। তিনি একাই নেন তিন উইকেট। রিচার্ডসন দুই উইকেট পেলেও ৭৩ রান দেন। বাকি আর কেউই কোনও উইকেট পাননি। এবার অজিরা ব্যাট করতে নেমে ভারতের এই রানের পাহাড় টপকাতে পারবে নাকি ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরাবে বিরাট-রোহিতরা, সেটাই দেখার।