আজ মকরসংক্রান্তি। লাখো লাখো মানুষের ভিড় সাগর প্রাঙ্গণে। মকর সংক্রান্তির পূণ্যতিথিতে অগুনতি মানুষ পূণ্যস্নানের উদ্দেশ্যে গঙ্গাসাগর গেছেন। আর তাঁদের নিরাপত্তায় উপকূল রক্ষী বাহিনী মুড়ে রেখেছে গোটা গঙ্গাসাগরকে।
রাজ্য সরকারের প্রস্তুতি শেষ। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে মেলার তদারকির দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর থেকে অর্থাৎ রাত ১টা ২৪ মিনিট থেকে শুরু হবে শাহিস্নান। চলবে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত ৩১ লক্ষ পুণ্যার্থী স্নান করে ফিরে গিয়েছেন। বুধবার থেকে পুণ্যস্নান করবেন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ।
যে কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে পাঁচ হাজার পুলিশকর্মী, ১ হাজার ২০০ জন সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবী এবং পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সাগরতটে সতর্ক পাহারা দিচ্ছেন। এছাড়া তৈরি থাকবে হেলিকপ্টার। উপর থেকে পাখির নজর রাখতে উড়বে একাধিক ড্রোন। পাশাপাশি, অসংখ্য স্পিডবোটও প্রস্তুত।
মাথার উপর ডর্নিয়ার বিমান নজরদারি রাখছে। সমুদ্রে নজরদারি চালাচ্ছে অ্যাডভান্সড অফসোর পেট্রল ভেসেল, ফাস্ট পেট্রল ভেসেল এবং হোভারক্রাফ্ট এবং ভারত-বাংলা সীমান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে বড় জাহাজ। মোট কথা ত্রিস্তরীয় কড়া নিরাপত্তায় রয়েছে গঙ্গাসাগর।
মঙ্গলবার ফ্রেজারগঞ্জের উপকূল রক্ষী বাহিনী স্টেশনের কমান্ডান্ট অভিজিৎ দাশগুপ্তের কথায়, “পুণ্যস্নান করে যাতে সব পুণ্যার্থী নিরাপদে ফিরতে পারেন, সেটাই নজরে রাখা আমাদের কর্তব্য। সেজন্য আমরা গত কয়েকদিন ধরেই সতর্ক রয়েছি”।
বর্তমানে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর সদর দফতরের অধীনে চারটি হোভারক্রাফ্ট রয়েছে। যেগুলি হলদিয়া স্টেশনে রাখা থাকে। সূত্রের খবর, মোট তিনটি হোভারক্রাফ্ট গঙ্গাসাগরের আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন রাখা হয়েছে।