টালা ব্রিজ ভাঙার পর নতুন করে তৈরি করার উদ্যোগও নিয়েছে পূর্ত দফতর। এজন্য টেন্ডারও ডাকা হয়েছে। চার লেনের টালা ব্রিজ তৈরিতে খরচ ধরা হয়েছে ২৬৮ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। সময় ধরা হয়েছে দেড় বছর। তৈরির পর নির্মাণকারী সংস্থার হাতে ১০ বছর টালা ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকিওরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন (ইপিসি) মডেলে টালা ব্রিজটি তৈরি হবে।
এদিকে টালা ব্রিজ ভাঙলে সমস্ত গাড়ির চাপ গিয়ে পড়বে ওই চিৎপুর ব্রিজের উপরে। কিন্তু ৮৬ বছরের পুরনো চিৎপুর ব্রিজের স্বাস্থ্যও ভালো নয়। তাই আগে চিৎপুর ব্রিজের জরুরি মেরামতির কাজ শেষ করতে চায় কেএমডিএ। জরুরি ভিত্তিতে সেই কাজ শুরু হয়েছে। তার আগে ব্রিজটির মেরামতি না করলে বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে বলে কেএমডিএ’র ইঞ্জিনিয়ারদের ধারণা। চিৎপুর ব্রিজে আটটি করে ১৬টি হ্যাঙ্গার রয়েছে। হ্যাঙ্গারগুলি ব্রিজটিকে ধরে রেখেছে। লি অ্যাসোসিয়েটস নামে একটি সমীক্ষক সংস্থার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টে সেই হ্যাঙ্গারে নানা ধরনের ত্রুটি ধরা পড়ে। তাই জরুরি ভিত্তিতে হ্যাঙ্গারগুলিতে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। টালা ব্রিজ ভাঙার আগেই সেই কাজ শেষ করতে চায় কেএমডিএ। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, ১৮ জানুয়ারি টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হবে।
সমীক্ষক সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে দু’দিন রাত ১০টা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত ব্রিজের উপর থেকে বিটুমেন-এর স্তর তুলে ফেলা হয়। তার ফলে ব্রিজের উপরে ভার অনেকটা কমে গিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্রিজটি পিলার এবং আর্চের মধ্যে স্টিল ঢোকাতে হবে। অর্থাৎ ১৬টি হ্যাঙ্গারে ওই স্টিলের পাত ঢোকানোর কাজ চলছে। ফলে শক্তপোক্ত হয়ে যাবে ব্রিজটি। টালা ব্রিজ ভাঙা হলে ছোট-বড় সব গাড়ি চলবে এই ব্রিজ দিয়ে। ১৯৩৪ সালে তৈরি হওয়া কাশীপুর রোডের উপরে থাকা চিৎপুর ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ব্রিজে স্ট্রাকচারাল ত্রুটি আছে। অবিলম্বে মেরামতি করা দরকার। সে কথা মাথায় রেখেই টেন্ডার না করে তড়িঘড়ি মেরামতির কাজ শুরু করল কেএমডিএ।