পাঞ্জাবের বৃষ্টিভেজা মাঠে এদিন খেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই দাপট দেখাতে থাকে ডিপান্ডা ডিকা-কেভিন লোবোরা। নিজেদের মধ্যে পাস খেলে আক্রমণে উঠতে থাকেন পাঞ্জাবের ফুটবলাররা। বাগানের বাতিল বিদেশি ডিপান্ডা ডিকার উপরেই ছিল মূলত পাঞ্জাবের আক্রমণভাগের দায়িত্ব। সেটা ভালভাবেই পালন করছিলেন ডিকা। অন্যদিকে শুরু থেকেই কেমন যেন একটা ছন্নছাড়া ফুটবল খেলতে থাকে মোহনবাগান। মাঝমাঠে খেলা তৈরি হলেও অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে সব আক্রমণ খেই হারিয়ে যাচ্ছিল। ফাইনাল পাস দিতে সমস্যায় পড়ছিলেন বেইতিয়া, নওরেমরা।
তারমধ্যেই বাগানকে প্রথম ধাক্কা দেন ডিকা। ১৯ মিনিটের মাথায় ডানপ্রান্ত ধরে সঞ্জু প্রধানের ক্রসে দুরন্ত সাইড ভলিতে গোল করে পাঞ্জাবকে এগিয়ে দেন তিনি। তারপরেও আক্রমণে উঠতে থাকে পাঞ্জাব। অন্যদিকে পাঞ্জাব গোলের সামনে তেমন কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি সবুজ-মেরুন আক্রমণভাগ। কেবলমাত্র ফ্রান গঞ্জালেজের একটা হেড ছাড়া প্রথমার্ধে সেভাবে সমস্যায় পড়তে হয়নি পাঞ্জাব গোলকিপারকে। অন্যদিকে ময়দানে দীর্ঘদিন খেলে যাওয়া সঞ্জু প্রধান, কেবিন লোবোর মতো ফুটবলাররা দুরন্ত খেলছিলেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবি দেখা যায়। ৫৪ মিনিটের মাথায় একের বিরুদ্ধে এক শট দুরন্তভাবে বাঁচান শঙ্কর। নইলে ব্যবধান আরও বাড়ত। অন্যদিকে ব্রিটো নামার পরে কয়েকটা সুযোগ তৈরি করে বাগান। কিন্তু দিওয়ারা, বেইতিয়া সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। এমনকি নওরেমের ডান পায়ের জোরালো শটও সরাসরি জমা পড়ে পাঞ্জাব গোলকিপারের দস্তানায়।
হাজার চেষ্টা করেও পাঞ্জাব ডিফেন্সকে ভাঙতে পারছিলেন না বেইতিয়া, ফ্রান গঞ্জালেজরা। অন্যদিকে বাগান গোলের সামনে মাঝমধ্যেই ত্রাসের সৃষ্টি করছিলেন ডিকা। শেষ অবধি ৭৮ মিনিটের মাথায় নিজের শেষ তাস খেলে ফেলেন কিবু ভিকুনা। ড্যানিয়েল সাইরাসকে তুলে নতুন বিদেশি তুরসুনভকে নামান তিনি। যখন মনে হচ্ছে পাঞ্জাবের মাটি থেকে খালি হাতেই ফিরতে হবে বাগানকে ঠিক তখনই জ্বলে উঠলেন শুভ ঘোষ। পাঞ্জাব ডিফেন্সের ভুলকে কাজে লাগিয়ে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে দিলেন তিনি। ফের একবার প্রমাণ করলেন তিনকাঠিটা বেশ ভালই চেনেন এই তরুণ স্ট্রাইকার। এদিনের ম্যাচ শেষ অবধি ড্র হওয়ায় ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট হল কিবু ভিকুনার ছেলেদের।