বিগত ত্রৈমাসিকে রেকর্ড পরিমাণ জিএসটি আদায় সত্ত্বেও রাজকোষে টান পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ফের একবার সাহায্যের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছেই হাত পাততে হতে পারে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। তাদের সূত্রের কথা উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্টে বাবদ আরবিআইয়ের থেকে কেন্দ্র অন্তত ৩৫,০০০ কোটি টাকা চাইতে পারে। এই খবরে সিলমোহর দিয়েছেন গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত তিনজন শীর্ষকর্তা। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।
ঘটনা হচ্ছে, চলতি আর্থিক বছরের চারটি ত্রৈমাসিকে কর আদায়ে যে ঘাটতি হবে বলে মনে করা হচ্ছিল, অনেক আগেই সেই ঘাটতি ছুঁয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে এখনও দু’মাসের বেশি সময় রয়েছে। এই দু’মাসে ওই ক্ষতির পরিমাণ যার লক্ষ্যমাত্রা ৭.০৩ ট্রিলিয়ন, তা ছাড়িয়ে যাবে বলে একপ্রকার নিশ্চিত কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে সরকারি রাজকোষে বিরাট পরিমাণ ঘাটতি দেখা দেবে। এই ঘাটতি পূরণ করতে শীর্ষ ব্যাঙ্ক তাদের ‘ত্রাতা’ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই সঞ্চিত অর্থ থেকেই ডিভিডেন্টে বাবদ ৩৫,০০০ হাজার কোটির সাহায্য কেন্দ্র নেবে বলে জানা যাচ্ছে।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গত অর্থবর্ষেও কেন্দ্র ঘাটতির সম্মুখীন হওয়ার কারণে সর্বমোট প্রায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। দুই দফায় এই টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগের সময় এই টাকা দেওয়া নিয়ে নোটবন্দীর আগে খোদ মোদীর মনোনীত আরবিআই গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব লাগে কেন্দ্রের। সূত্রের খবর, উর্জিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ার থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কেন্দ্রকে দিতে নিমরাজি ছিলেন। এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই গভর্নরের পদ থেকে ইস্তফা দেন উর্জিত। তাঁর জায়গায় দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের শীর্ষ কর্তার চেয়ারে বসেন ইতিহাসে এমএ করা শক্তিকান্ত দাস।
শক্তিকান্ত আরবিআই গভর্নরের পদে বসার পর থেকেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের টাকা পেতে খুব একটা অসুবিধার সম্মুখীন হয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন করে যে ৩৫,০০০ কোটির সাহায্য কেন্দ্র পাওয়ার কথা তা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই গভর্নর মঞ্জুর করে দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।