শুক্রবার নদীয়ার হাঁসখালির কৃষক বাজার সংলগ্ন ময়দানে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আয়োজিত জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি জানান, “দরকার হলে এক নদী রক্ত বইয়ে দেব, তাও একজন মানুষকেও এনআরসি, সিএএর জন্য দেশের বাইরে যেতে দেব না। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তৃণমূল কংগ্রেস দল আছে। কার কত বুকের পাটা আছে, আমরা দেখব। এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ রইল”।
রাজীববাবু বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এরা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চেষ্টা করছেন দেশ থেকে যাতে মানুষকে বিতাড়িত করতে পারে। নরেন্দ্র মোদীর কাছে কী প্রমাণ রয়েছে যে উনি নাগরিক! আপনি নাগরিকত্ব হিসেবে আবেদন করা মানেই, আপনি বিগত দিনে নাগরিক ছিলেন না বলে প্রমাণিত হয়ে গেল। ফলে আপনার সমস্ত কিছু বেআইনি হিসেবে গণ্য হবে। অনুপ্রবেশকারী আটকানোর কথা বলছে। অনুপ্রবেশকারী আটকানোর দায়িত্ব কাদের? কেন্দ্রের সংস্থা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। যদিও সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা ঢোকে, তবে তার দায় কার! এই অপদার্থতার দায় মোদী সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “যেকোনও কারণে হোক, বিগতদিনে এখান থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে গিয়েছেন। প্রায় এক বছর হতে চলেছে, কী কাজ করেছেন তিনি। মানুষকে আমি বলব, ভারতীয় জনতা পার্টিকে জিজ্ঞাসা করুন। ওই দলটার নাম ‘ভারতীয় জঘন্য পার্টি’ হওয়া উচিত ছিল। ওই দলের সভাপতির নাম বলতেও আমার রুচিতে বাধে। কৃষ্ণনগরের সভায় তিনি অ্যাম্বুলেন্স আটকাচ্ছেন। এই দলটাও জঘন্য আর শুধু সভাপতি নন, নেতানেত্রী যাঁরা আছেন, তাঁরা সকলেই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। মানসিক ভারসাম্য না থাকলে যা হয়, সেরকম কথা বলছেন। আগামীদিনে নদীয়ার মানুষ, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ওদের মহাসাগরে পাঠিয়ে দেবে। এছাড়া ওদের কোনও স্থান নেই”।
রাজীববাবু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী একবার বলছেন এনআরসির কথা বলিনি, ঝুট। আর অমিত শাহ বলছেন, এনআরসি করবই। এরা কেমন, এতেই বোঝা যায়। এরা মুখে এরকম, আর মুখোশ আরএক। ২০২১ কেন ৩০২১ পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও এই দলটা পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এরা ভোটার কার্ড বাতিল করবে বলছে, ২ কোটি মানুষকে বের করে দেওয়ার কথা বলছে, ওরা তো তাঁদের উপর দাঁড়িয়েই ভোটে জিতেছে। তবে এখানকার নির্বাচিত সাংসদদেরও বাতিল করতে হবে। তাতে তো ওঁর প্রধানমন্ত্রীর পদও থাকবে না”।