জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি এবিভিপি নেতার। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের স্টিং অপারেশনে হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছেন এবিভিপি নেতা অক্ষত অবস্তি। জেএনইউয়ের ওই পড়ুয়া দাবি করছেন, তিনি এবিভিপির সমর্থক। এবং তাঁর নেতৃত্বেই জেএনইউতে গুন্ডাগিরি করেছে এবিভিপি সমর্থকরা।
বিস্ফোরক স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ করেছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ইন্ডিয়া টুডে। তাঁদের স্টিং অপারেশনে দেখা গিয়েছে, এবিভিপির সমর্থক অক্ষত অবস্তি সব ঘটনার দায় নিজেদের ঘাড়ে তুলে নিচ্ছেন। স্টিং অপারেশনে ওই পড়ুয়া যা বলছেন তাঁর সারমর্ম হল, সেদিন ক্যাম্পাসে হামলা চালিয়েছিল এবিভিপিই। যারা হামলা চালিয়েছিল তাঁদের অর্ধেক বহিরাগত। বাকিরা জেএনইউয়েরই ছাত্র। হামলার নেতৃত্বে সে নিজেই ছিল। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হামলার সব বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সে বলছে, “পেরিয়ার হস্টেল থেকে আমি একটি লাঠি তুলে নিয়েছিলাম। আমি এলাকায় অনেক গুন্ডাগিরি দেখেছি, তাই আমাকেই নেতৃত্ব দিতে হয়েছে। আমরা যখন হামলা করি, তখন শিক্ষক-ছাত্র যাঁরা ছিল, তারা সবাই পালায়।”
ওই ছাত্রনেতা ফলাও করে বলছেন, “আমি আপনাকে নিশ্চিত করছি, আমিই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছি। বাকিদের এত বুদ্ধি নেই। কোথায়, কীভাবে হামলা চালাতে হবে সবকিছুতেই আমি ওঁদের নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি দলের কোনও পদে নেই। তবু, সবাই আমার কথা শুনেই কাজ করেছে।”
গত ৫ জানুয়ারি জেএনইউয়ের সবরমতী হস্টেলে দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত হয়েছেন ৩৪ পড়ুয়া। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য খোদ জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। যাঁকে দিল্লীর এইমসে ভরতি করতে হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও কোনো কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। এমনকী, এই ঘটনায় একজন অভিযুক্তকেও শনাক্ত করা যায়নি। উলটে, পাঁচ জানুয়ারির আগে দু’দিন পরপর হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ঐশী ঘোষকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।