মুখোশধারীদের তাণ্ডবে জেএনইউ রক্তাক্ত হওয়ার পরে উত্তাল গোটা দেশ। এহেন পরিস্থিতিতে যখন বলিউডের অধিকাংশ মানুষই যখন চুপ, তখন আক্রান্ত পড়ুয়াদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন। তারপর থেকেই নানারকম কটাক্ষ, তির্যক মন্তব্যের শিকার হয়েছেন নায়িকা। এমনকি বিজেপি নেতা তাঁর সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ছপক’ বয়কটের ডাকও দিয়েছেন। এবার আবারও গেরুয়া রোষের কবলে পড়লেন রণবীর-ঘরনী। জাতীয় দক্ষতা বৃদ্ধির প্রোমোশনাল ভিডিওতে তিনি বাদ পড়েছেন বলে খবর। যদিও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক জানিয়েছে, দীপিকার নাম বাদ পড়ার দায় তাঁদের নয়। এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন পর্ষদের অধীনে। কিন্তু একথা দিনের আলোর মতই স্পষ্ট যে, জেএনইউ-তে যাওয়ার পরে দীপিকার সঙ্গে এরকম কিছু ঘটা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।
এই ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ‘দক্ষ ভারতের প্রচার এবং জনসংযোগের রোজকারের কার্যকলাপ হিসেবে, বিভিন্ন মিডিয়া দফতর এবং সিনেমা প্রযোজনা সংস্থার কাছ থেকে আলাপ-আলোচনা চলে। ওই প্রযোজনা সংস্থা আমাদের কাছে ছবির বিষয়বস্তু প্রচারের আবেদন করেছিল। একইসঙ্গে অভিনেত্রীও বিভিন্ন অ্যাসিড আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন। যাইহোক, ওই প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে সরকারিভাবে কোনও চুক্তি হয়নি। মন্ত্রক কোন ব্যক্তিকে প্রচারের জন্য নিযুক্ত করেনি। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন দপ্তর এই ব্যাপারে বলতে পারবে।’
উল্লেখ্য, এই দীপিকাকেই একদিন গেরুয়া শিবির ‘ভারতলক্ষ্মী’ বলে অভিহিত করেছিল। এই ঘটনার পর নেটিজেনরা বলছেন, যেই আঁতে ঘা লাগল, সঙ্গে সঙ্গে বাদ দেওয়া হল তাঁকে! মঙ্গলবারের পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধেই সবরকম আক্রমণে নেমে পড়েছে বিজেপি। দিল্লী বিজেপির মুখপাত্র তেজিন্দর পাল সিং ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর সমর্থনে দাঁড়ানোর ‘অপরাধে’ দীপিকার সমস্ত ছবি বয়কট করার ডাক দেন। ট্যুইটারে তাঁকে সমস্বরে সমর্থন করেছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। অতি উৎসাহী অনেকে ‘ছপক’ ছবির টিকিট বাতিলের স্ক্রিন শট ট্যুইটারে তুলে ধরেন। যদিও একই টিকিট একাধিক ব্যক্তি ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে দেখা গিয়েছে।