লিগের প্রথম পর্বে ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরুকে আটকে দিয়েছিল জামশেদপুর। নেপথ্যে ছিলেন জামশেদপুরের গোলরক্ষক সুব্রত পাল। সেদিন শত চেষ্টা করেও সুব্রতকে টপকাতে পারেননি সুনীল। তাই গতকাল বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামেও আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল এই সুনীল-সুব্রত দ্বৈরথ। তবে এদিনের ম্যাচে শেষ হাসি হাসলেন ভারতীয় দলের অধিনায়কই।
জামশেদপুরের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ৪-৩-৩ ছকে দল সাজিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর স্পেনীয় কোচ কার্লেস কুদ্রাত। ম্যাচের পাঁচ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল গত বারের চ্যাম্পিয়নেরা। কিন্তু আশিক কুরুনিয়ানের শট বাঁচিয়ে দেন জামশেদপুর গোলরক্ষক সুব্রত পাল। তিন মিনিটের মধ্যেই অবশ্য এরিক স্বস্তি ফেরান বেঙ্গালুরু শিবিরে। দিমাস দেলগাদোর পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।
জামশেদপুরের কোচ আন্তোনিয়ো ওর্তেগাও স্প্যানিশ। তিনিও এ দিন ৪-৩-৩ ছকে দল সাজিয়েছিলেন। ফিরিয়ে এনেছিলেন গত মরসুমে বয়স ভাঁড়িয়ে নির্বাসিত হওয়া ফরোয়ার্ড গৌরব মুখিকেও। কিন্তু কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার পরিকল্পনা ভেস্তে যায় তাঁর দলের ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণের তেজ আরও বাড়াতে ডিফেন্ডার জিতেন্দ্র সিংহকে তুলে আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার বিকাশ জাইরুকে নামান ওর্তেগা। ম্যাচের ৫০ মিনিটে ফুটবলার পরিবর্তন করেন বেঙ্গালুরু কোচও। মানুয়েল ওনউকে তুলে উদান্তা সিংহকে নামান কুদ্রাত। তিন মিনিটের মধ্যেই গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। উদান্তার শট অবশ্য ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৫৮ মিনিটে দেলগাদোর ফ্রি-কিক অসাধারণ দক্ষতায় বাঁচান সুব্রত। কিন্তু সুনীলের গোল করা তিনি আটকাতে পারলেন না। ৬৩ মিনিটে এরিকের পাস থেকেই গোল করেন ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই স্ট্রাইকার।
এই ম্যাচে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের পরে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে এটিকে-কে টপকে আইএসএল টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল বেঙ্গালুরু এফসি। ম্যাচের পর জামশেদপুর কোচ স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর দলের ব্যর্থতা। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বেঙ্গালুরু এফসির এরিক পার্তালু-সুনীল ছেত্রীর যুগলবন্দিতেই বিপর্যস্ত হয়েছে জামশেদপুর এফসি।