সিএএ-র বিরুদ্ধে একজোট হলেন দেশের ১১ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ দেশের ৫৬ শ্টাংশ জনতা নিয়েছেন নো এনআরসি-সিএএ স্ট্যান্ড। প্রশ্ন উঠছে এরপরেও কিভাবে সারা দেশে এনআরসি-সিএএ লাগু করবে মোদী সরকার। উল্লেখ্য, এই ১১টি রাজ্যে রয়েছে ভারতের মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ। যে ১১ রাজ্য সিএএ-র বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে সেগুলো হল বিহার, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়, কেরালা, বাংলা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং দিল্লী। উল্লেখ্য, অনেক অ-বিজেপি দল রাজ্য এমনকি এনডিএ এই এনআরসি বিরোধী র্যালিতে যোগদান করেছেন।
সিএএ বিরোধী এই সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীরা একজোট হয়ে গর্জে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সকলের বক্তব্য, সংসদে সিএএ নিয়ে কোন আলোচনা করেননি মোদী। এই বক্তব্য সামনে আনে রামনাথ কোবিন্দের ভ্রান্ত বক্তব্যকে৷ কোবিন্দ বলেছিলেন মোদী সিএএ নিয়ে সংসদে আলোচনা করেছেন।
এই ১১মুখ্যমন্ত্রীর তালিকায় সর্বশেষ নামদুটি হল ওয়াই এস জগন্মোহন রেড্ডি এবং উদ্ধব ঠাকরে। তিনিও সংসদে স্পষ্ট জানিয়ে দেন সিএএ-কে তিনি সমর্থন করছেন না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের উদ্দেশ্য করে উদ্ধব বলেন, তাঁর রাজ্য কখনই এনআরসি বা সিএএকে সমর্থন করে না। এবং মহারাষ্ট্রে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প গড়া হবে না।শিবসেনা লোকসভায় সিএএ-কে সমর্থন করলেও রাজ্যসভার ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত ছিল।
১। বিহার
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও তার রাজ্যে এনআরসি বা সিএএ বাস্তবায়নের সপক্ষে কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন এই জনবিরোধী পদক্ষেও কিছুতেই নিজের রাজ্য তিনি মানবেন না।
২।উড়িষ্যা
উড়িষ্যাতেও নবীন পট্টনায়ক লোকসভা এবং রাজ্যসভায় নিজের দলের ৭সাংসদকে নিজের রাজ্যে এনআরসি আটকাতে বলেছেন। তিনি ১৮ ডিসেম্বর স্পষ্ট জানিয়েছেন সিএএ দিয়ে ভারতের নাগরিকদের জন্যে কোনও সুবিধা হবে না।
৩। পাঞ্জাব
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীই প্রায় প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি মুখ খুলেছেন সিএএ-র বিরুদ্ধে। সিএএ পাশ করার আগেই তিনি জানিয়েছিলেন পাঞ্জাবে সিএএ করতে দেওয়া হবে না। তিনি আরও জানান, এই এনআরসি বা সিএএ গণতন্ত্রের বিপক্ষে।
৪।বাংলা
সিএএ বিরোধী বিপ্লবে শামিল হয়েছে মমতার বাংলাও। মমতার ডাকে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। এই প্রসঙ্গে মমতা একাধিক বক্তব্যে উত্থাপন করেছেন। তিনি নিজেও পথে নেমে প্রতিবাদ করেছেন।
৫। ছত্তিশগড়
বিক্ষোভের আগুন ছত্তিশগড়েও। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তিনি বল্রছেন, ছত্তিসগড়ে এসেবের দরকার নেই।তিনি বলেছেন এনআরসির নামে মোদী সরকার ভারতের সাধারণ মানুষদের চূড়ান্ত হেনস্থা করছেন।
৬।কেরালা
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও মুখ খুলেছেন এনআরসি সিএএ-র বিরুদ্ধে। বিজয়ন স্পষ্ট জানিয়ে, সিএএ বিরোধী আন্দোলনে তার সমর্থন থাকবে। কেরালাতে কিছুতেই এনআরসি জারি হবে না।
৭। দিল্লী
দিল্লীর মুখ্য মন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেছেন, এই সিএএ_কে তিনি মানছে না। সংসদেও আপ বিরোধিতা করেছিল।
৮। মধ্যপ্রদেশ
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথও সংসদে ভোট দেননি। তিনিও বলেছেন এই আইন জনস্বার্থ বিরোধী। এবং একই সঙ্গে সংবিধান বিরোধী।
৯। রাজস্থান
২২ ডিসেম্বর, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জয়পুরে একটি এনআরসি বিরোধী সমাবেশে যোগ দেন এবং স্পষ্ট জানান, এনআরসিকে তিনি কোনওভাবেই সমর্থন করছেন না।