নতুন বছরের শুরুতেই সুখবর৷ এবার রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এই নির্দেশ প্রথমেই কার্যকরী করা হবে পঞ্চায়েত দফতরের জন্য। আগামী দিনে বাকি দফতরগুলির বিষয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু করবে সরকার।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের একাধিক দফতরের মধ্যে পঞ্চায়েতেই অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। তথ্য অনুযায়ী শুধুমাত্র পঞ্চায়েত দফতরেই প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক অস্থায়ী হিসাবে কাজ করেন। তাঁদের স্থায়ী করার জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত দফতরে যে সমস্ত কর্মীরা অস্থায়ী হিসাবে টানা ২ বছর ধরে কাজ করছেন তাদের বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থায়ী করা হবে।
কী সেই প্রক্রিয়া? অস্থায়ী কর্মীকে প্রথমে ১ বছরের জন্য প্রবেশনে রাখা হবে। যাঁরা ভাল কাজ করবেন, তাঁদের পরীক্ষায় বসানো হবে। পরীক্ষায় ভাল ফল করলেই চাকরি পাকা। পরীক্ষা খারাপ ফল হলেও আশঙ্কার কারণ নেই। আরও ১ বছর প্রবেশনে থাকতে পারবেন তাঁরা। এরপর পাবেন পরীক্ষায় বসার সুযোগ। এভাবেই ধাপে ধাপে স্থায়ী করা হবে সকল কর্মীকে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরেই সরকারের সবচেয়ে বেশি জনকল্যাণমূলক কাজগুলি সংগঠিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে রাস্তা তৈরি, নির্মল বাংলা, গৃহনির্মাণ-সহ নানা ধরনের প্রকল্প। আর এই সবকটি প্রকল্পেই যুক্ত রয়েছেন অস্থায়ী কর্মীরা। রাজ্যে বাম সরকারের আমল থেকেই এই অস্থায়ী পদে কর্মী নিয়োগ করা শুরু হয়েছিল।
তবে পরবর্তীকালে তৃণমূল সরকার আসার পর ১০ বছরের বেশি যাঁরা অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করছেন তাঁরা স্থায়ী চাকরির দাবি করেন। সেই দাবিপত্র মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছতেই এবার তাতে সবুজ সংকেত দিলেন মমতা। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এত জন কর্মীকে স্থায়ী করতে যে অর্থের প্রয়োজন, তা তাঁর দফতরের কাছে নেই। সে কারণে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।’