বছরের শুরুতেই গলসিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মাটির বাড়ির উপর বালি বোঝাই লরি উলটে মৃত ৫। ঘটনার পরই বালি খাদানের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। অভিযোগ, মদ্যপ ছিলেন ওই লরির চালক। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিকট আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। ওই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয় লরিটিতে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে বালি খাদানের অফিসেও আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। গ্রামবাসীদের দাবি চালক মত্ত অবস্থায় থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, বুধবার ভোররাতে গলসির শিকারপুর এলাকায় বালি বোঝাই লরি বাঁধ ধরে যাওয়ার সময় হুড়মুড়িয়ে একট মাটির বাড়ির উপর পড়ে যায়। সেই সময় ঘরে ছিল দুই শিশু-সহ ৬ জন। বালি চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৫ জনের। জখম হন এক যুবক। শব্দ পেয়ে স্থানীয়রাই ঘটনাস্থলে গিয়ে বালি সরিয়ে সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা সুচিত্রা মালিক, তাঁর মেয়ে দোলন মণ্ডল, জামাই বাপ্পা মণ্ডল, নাতনি নন্দিনী ও নাতিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১ যুবক।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। এখনও এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। ক্ষতিপূরণের না মিললে দেহ সৎকার করা হবে না বলেই দাবি পরিবারের সদস্যদের। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার সময় মদ্যপ ছিলেন লরির চালক। সেই বিষয়টি আদৌ সত্য কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।