সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে ক্ষোভে উত্তাল গোটা দেশ। উত্তর-পূর্ব, বাংলা, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লী হয়ে ক্রমে এই আইনের বিরোধিতার আগুন সারা ভারতে, এমনকি বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহ থেকেই সিএএ-র বিরোধিতায় রোজই পথে নেমেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিনও তিনি রাজবাজার থেকে মল্লিকবাজার অবধি মিছিল করেন। আর এদিনই সিএএ-এনআরসির বিরোধিতায় কলকাতার রাস্তায় নামলো প্রায় ৫০- এর কাছাকাছি খ্রিস্টান সংগঠনের মিছিল।
বড়দিন উপলক্ষ্যে গত সপ্তাহে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়েও তিনি এই নয়া আইন লাগু করা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। তারপরই আজ বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চের সামনে থেকে শুরু হয় মিছিল। ময়দান, পার্ক স্ট্রীট পার করে মিছিল শেষে হয় মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মোট ৪৫ টি চার্চ ও আরও বেশ কয়েকটি খ্রিস্টান সংগঠনের নেতৃত্বে আজকের এই মিছিল শুরু হয়।
মূলত মৌন মিছিল হলেও গান্ধী মূর্তির সামনে বেশ কয়েকবার স্লোগান ওঠে – ‘এনআরসি চাই না-সিএএ চাই না।’ কেউ আবার শান্তির বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বললেন, ‘যুদ্ধ নয়, শান্তির মাধ্যমেই ছিনিয়ে নেব অধিকার।’ এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিশপ কলেজের প্রিন্সিপাল। তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার যেই আইনটা গোটা দেশে লাগু করতে চাইছে, সেটা সংবিধান বিরোধী। আমরা চাই না, যাঁরা এতবছর ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দেশে বসবাস করছেন, তাঁদের এই দেশ ছেড়ে চলে যেতে হোক।’
গোটা দেশে এই আইনের বিরোধিতায় প্রধান মুখ হয়ে বারবার দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁকেই প্রথম বলতে শোনা গিয়েছে, আমার রাজ্যে এনআরসি-সিএএ করতে দেব না। তারপরেই তাঁর সুরে সুর মিলিয়ে অন্যান্য অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও এই একই কথা বলেছেন। এই আইনের বিরোধিতা করায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রশংসা শোনা যায় আজকের আয়োজকদের মুখে।