দোলাচল ছিলই। কিন্তু সব আশঙ্কা উড়িয়ে কলকাতা থেকে স্পষ্ট দেখা গেল বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ। মাঝেমধ্যে মেঘ এসে ঢেকে দিলেও আকাশে একপ্রকার স্পষ্টই দেখা গেল আংশিক সূর্যগ্রহণ। আকাশে মেঘ থাকা সত্ত্বেও কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত কিছু সময়ের জন্য চাক্ষুস করা গেল সূর্যের আংশিক গ্রহণকে।
চলতি বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ এটা। প্রায় এক দশক পরে ভারত থেকে সূর্যের বলয়গ্রাস দেখা গেল। এই গ্রহণে সূর্যের সম্পূর্ণ অংশ চাঁদের আড়ালে ঢাকা পড়ে না। তার ফলে সূর্যের বাইরের অংশটি উজ্জ্বল বলয়ের আকারে দৃশ্যমান হয়। এটা হয় পৃথিবী থেকে চাঁদ ও সূর্যের আপেক্ষিক দূরত্বের ফারাকের কারণে হয়। তবে বলয়গ্রাস এ বার শুধু দক্ষিণ ভারতের একাংশ থেকেই দেখা সম্ভব হয়েছে।
এ দিন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে সকাল থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করে শহরবাসী। পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ চশমার মাধ্যমে গ্রহণ দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়। কলকাতার বিভিন্ন বড় বাড়ির ছাদেও ভিড় করেছেন মানুষজন। তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সকলের কপালে শিকে ছিঁড়ছে না। তার উপরে কলকাতার কোনও কোনও অংশে আবার ঝিরঝিরে বৃষ্টিপাতও শুরু হয়েছে। ফলে সকালের দিকে গ্রহণ দেখা গেলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘ আরও বাড়তে শুরু করেছে। তবে কলকাতা ছাড়া কোচবিহার থেকেও আংশিক গ্রহণ দেখা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আগেই বলা হয়েছিল ৮ টা ২৭ মিনিট থেকে দেখা যাবে সূর্যগ্রহণ। প্রথমে মেঘের কারণে দেখা না গেলেও ৮ টা ৪৫ নাগাদ দেখা যায় সূর্যের এই গ্রহণ। যদিও ভারতের দক্ষিণ থেকেই বেশি ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে এই দৃশ্য।কলকাতা ছাড়াও দার্জিলিং ও কোচবিহার থেকেও দেখা গেছে এই গ্রহণ। রাজ্যের অন্য জেলাগুলি থেকে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা গিয়েছে। সকাল সকালই খবর আসে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকেও দেখা গিয়েছে এই গ্রহণ।
আবু ধাবিতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে এই গ্রহণ। সেখানে সম্পূর্ন বলয় গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি গ্রহণ দেখা গিয়েছে আমেদাবাদ, মুম্বইতেও। ফলে দেশের দক্ষিণ অংশ থেকে এই গ্রাস দেখার কথা ছিল, তেমন হল না, প্রায় সারা ভারত জুড়ে দেখা গিয়েছে সূর্যগ্রহণ।